শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

রাশিয়ার ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১০

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ১২:১৫ এএম

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশে রাশিয়ার রাতভর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। হামলার ফলে আবাসিক এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মেট্রো স্টেশনের বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের প্রবেশপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, কিয়েভের ব্যস্ত শেভচেনকিভস্কি জেলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয় এ হামলায়। এই স্থানের একটি আবাসিক বহুতল ভবনের পুরো অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান টিমুর তাকাচেনকো টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হামলায় ৪ শিশুসহ ২৫ জন আহত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ ছাড়া ইউক্রেনের রাজধানীকে ঘিরে বিস্তৃত কিয়েভ অঞ্চলে ৬৮ বছর বয়সী একজন নারী নিহত এবং কমপক্ষে আটজন আহত হয়। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, রুশ হামলায় শহরের ১০টি জেলার মধ্যে ছয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে হামলায় রাশিয়ার ৩৫২টি ড্রোনের মধ্যে ৩৩৯টি এবং ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৫টি ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ব্রিটেন সফরের সময় দেশের প্রতিরক্ষা এবং রাশিয়ার ওপর এ ধরনের হামলা বন্ধ করার জন্য আলোচনা করবেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের আলোচনার মধ্যেই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় কিয়েভ এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে মস্কো। এর কারণ হিসেবে যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এই যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েক দফায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি ইউক্রেন-রাশিয়া। দুই দফায় বন্দি ও নিহত সেনাদের মরদেহ বিনিময় ছাড়া কার্যত কোনো অগ্রগতিই হয়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত