বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

অভ্যুত্থানের ১১ মাস পর দাউদকান্দিতে আরো একটি হত্যা মামলা

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১১ মাস পর দাউদকান্দিতে আরো একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গৌরীপুর বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামের সুলতান মিয়া (৪০) মারা যান। তার স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে ৩০ জুন দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এর আগে গত বছর ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিফাত ও বাবু হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, সাবেক মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।  

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট তিতাস উপজেলার সিএনজি চালক সুলতান মিয়া ছাত্রজনতার পক্ষে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে মিছিলে অংশগ্রহণ করে। ওই সময় এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গৌরীপুর বাজারের সামনে অবস্থান করিয়া দেশীয় তৈরি অস্ত্রের মহড়া প্রদশর্ন করে। একপর্যায়ে আসামিদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা আন্দোলনরত ছাত্রজনতাকে এলোপাতাড়ি গুলি করলে সুলতান মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় সুলতান মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে নিয়ে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলে পথেই মারা যায় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ রেখে দেন। ৭ আগস্ট দুপুরে শাহবাগ থানার পুলিশ সুলতানের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেন। 

মামলার বাদী রেহানা বেগম বলেন, গত বছর ছাত্র জনতার আন্দোলনে গিয়ে আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী স্বামীকে যখন হারিয়েছি মামলা করে আর কি হবে এমনটা ভেবে এতদিন মামলা করতে দেরি হয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, গত বছরের ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুলতান নামে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩০ জুন মামলা হয়েছে। এর আগে রিফাত ও বাবু হত্যার ঘটনায় আরো তিনটি মামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত