বিডিসিএসও সম্মেলনে স্থানীয়করণ, ঐক্য এবং সহিষ্ণুতার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ২২:২৬
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ সামাজিক শক্তি প্রয়োজন বলে বিডিসিএসও প্রক্রিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা অভিমত জানান।
তারা আরো বলেন, সামাজিক এ শক্তির উন্নয়ন করতে প্রয়োজন উন্নয়ন ও উন্নয়ন সহযোগিতাগুলোর স্থানীয়করণ, অন্তর্ভুক্তি বা ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং সহনশীলতার মানসিকতা।
তারা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য এ ধরনের সামাজিক শক্তি অপরিহার্য এবং সামাজিক মূলধনকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চারটি নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করতে হবে।
একই সঙ্গে তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাসকে গ্র্যান্ড বার্গেইন, উন্নয়ন কার্যকারিতা এবং চার্টার ফর চেঞ্জ আন্তর্জাতিক প্রশ্রুতিমালা পূরণ করার আহ্বান জানান।
‘বৃহত্তর নাগরিক সমাজ সংগঠন বিকাশে অন্তর্ভুক্তিমূলক-সহনশীলতার সংস্কৃতি’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জুডিথ বারবার্টসন, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ইগনাসিও প্যাকার এবং বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর’র প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন হিউম্যানিটারিয়ান এইড ইন্টারন্যাশনাল এর সুধাংশু শেখর সিং (ভারত), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের শরীফ জামিল এবং ক্রেডিট ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি মোর্শেদ আলম সরকার।
এতে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন আরপিএস’র আকবর হোসেন, আফাদ’র সৈয়দা ইয়সমিন এবং বিএনএনআরসি’র এএইচএম বজলুর রহমান।
অধিবেশন পরিচালনা করেন মোস্তফা কামাল আকন্দ ও ইকবাল উদ্দিন, স্বাগত বক্তৃতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিডিসিএসও প্রক্রিয়ার জাতীয় সমš^য়ক রেজাউল করিম চৌধুরী।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বিডিসিএসও প্রক্রিয়া দেশব্যাপী প্রায় ৬০০ তৃণমূল সিএসও/এনজিওর একটি ফোরাম।
ড. আতিউর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও এক ধরনের বর্ণবাদ এবং দ্বন্দ্ব রয়েছে, অথচ বাংলাদেশ তার সীমিত সামর্থ্য নিয়েই লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের একটি বিষয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক শক্তি ও সম্প্রদায়ের উদ্যোগ খুবই সীমিত, এটি এটা আমাদের অর্থনীতির ওপর বিশাল চাপ, কিন্তু আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশিরা নৈতিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা সবার জন্য প্রযুক্তি নিশ্চিত করব।
সুধাংসু শেখর সিং বলেন, অন্তর্ভুক্তি এবং সহনশীলতার ক্ষেত্রে ভিন্নমতকেও শুনতে হবে এবং সমালোচনামূলক সুশীল সমাজ বিকাশের সুযোগ রাখতে হবে। তিনি ধনী দেশের পরামর্শ মতো কাজ না করে তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক সমাজকে তাদের নিজস্ব বিষয়বস্তু তৈরির আহ্বান জানান।
জুডিথ হারবার্টসন বলেন, ব্রিটিশ জনগণ স্থানীয়করণ এবং স্থানীয় সুশীল সমাজকে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ২২:২৬

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ সামাজিক শক্তি প্রয়োজন বলে বিডিসিএসও প্রক্রিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা অভিমত জানান।
তারা আরো বলেন, সামাজিক এ শক্তির উন্নয়ন করতে প্রয়োজন উন্নয়ন ও উন্নয়ন সহযোগিতাগুলোর স্থানীয়করণ, অন্তর্ভুক্তি বা ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং সহনশীলতার মানসিকতা।
তারা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য এ ধরনের সামাজিক শক্তি অপরিহার্য এবং সামাজিক মূলধনকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চারটি নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করতে হবে।
একই সঙ্গে তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাসকে গ্র্যান্ড বার্গেইন, উন্নয়ন কার্যকারিতা এবং চার্টার ফর চেঞ্জ আন্তর্জাতিক প্রশ্রুতিমালা পূরণ করার আহ্বান জানান।
‘বৃহত্তর নাগরিক সমাজ সংগঠন বিকাশে অন্তর্ভুক্তিমূলক-সহনশীলতার সংস্কৃতি’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জুডিথ বারবার্টসন, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ইগনাসিও প্যাকার এবং বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর’র প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন হিউম্যানিটারিয়ান এইড ইন্টারন্যাশনাল এর সুধাংশু শেখর সিং (ভারত), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের শরীফ জামিল এবং ক্রেডিট ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি মোর্শেদ আলম সরকার।
এতে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন আরপিএস’র আকবর হোসেন, আফাদ’র সৈয়দা ইয়সমিন এবং বিএনএনআরসি’র এএইচএম বজলুর রহমান।
অধিবেশন পরিচালনা করেন মোস্তফা কামাল আকন্দ ও ইকবাল উদ্দিন, স্বাগত বক্তৃতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিডিসিএসও প্রক্রিয়ার জাতীয় সমš^য়ক রেজাউল করিম চৌধুরী।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বিডিসিএসও প্রক্রিয়া দেশব্যাপী প্রায় ৬০০ তৃণমূল সিএসও/এনজিওর একটি ফোরাম।
ড. আতিউর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও এক ধরনের বর্ণবাদ এবং দ্বন্দ্ব রয়েছে, অথচ বাংলাদেশ তার সীমিত সামর্থ্য নিয়েই লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের একটি বিষয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক শক্তি ও সম্প্রদায়ের উদ্যোগ খুবই সীমিত, এটি এটা আমাদের অর্থনীতির ওপর বিশাল চাপ, কিন্তু আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশিরা নৈতিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা সবার জন্য প্রযুক্তি নিশ্চিত করব।
সুধাংসু শেখর সিং বলেন, অন্তর্ভুক্তি এবং সহনশীলতার ক্ষেত্রে ভিন্নমতকেও শুনতে হবে এবং সমালোচনামূলক সুশীল সমাজ বিকাশের সুযোগ রাখতে হবে। তিনি ধনী দেশের পরামর্শ মতো কাজ না করে তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক সমাজকে তাদের নিজস্ব বিষয়বস্তু তৈরির আহ্বান জানান।
জুডিথ হারবার্টসন বলেন, ব্রিটিশ জনগণ স্থানীয়করণ এবং স্থানীয় সুশীল সমাজকে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।