একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আপিল করেছেন ২২ মনোনয়নপ্রত্যাশী। ৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন তারা।
২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিনে ৭৮৬ মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বৈধ ঘোষণা করা হয় ২ হাজার ২৭৯ মনোনয়নপত্র। মোট মনোনয়নপত্র জমা হয় ৩ হাজার ৬৫।
সোমবার আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মাওলা রনি (পটুয়াখালী-৩ থেকে), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে মো. আখতারুজ্জামান, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ থেকে মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ থেকে খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্ট, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান আপিল করেন।
আপিলকারীদের মধ্যে এক শতাংশ ভোটার না থাকার কারণ দেখিয়ে চারজনের, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নের জন্য তিনজনের, লাভজনক পদে থাকার জন্য সাতজনের, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় একজনের, আয়কর রিটার্নি দাখিল না হওয়ায় একজনের, ঋণখেলাপী দুইজনের ও দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। অন্য কারণ দেখিয়ে বাতিল হয় আরও দুই মনোনয়নপত্র।
সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ, আর ভোট ৩০ ডিসেম্বর।