৩৫ বছর বয়সে আবারও পেশাদার ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবু। চলতি মাসের শেষ দিকে মাঠে নামছেন তিনি। ব্যাট ধরবেন শ্রীলঙ্কার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্লাব বাদুরালিয়া স্পোর্টসের হয়ে।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট অন্ধকারে ছেয়ে যাওয়ার দিনগুলোতে একমাত্র আলোকবর্তিকা ছিলেন টাইবু। দেশটির বোর্ডের অপরাজনীতির শিকার হওয়া এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ২০১২ সালে হঠাৎ করেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন। চার্চে গিয়ে মন দেন ধর্মকর্মে।
এরমধ্যে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের হাইটাউন সেন্ট ম্যারি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকায় ফিরেছিলেন টাইবু। এরপর দায়িত্ব নেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের। পাশাপাশি দায়িত্ব নেন বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগের।
কিন্তু বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৩ রানে হেরে জিম্বাবুয়ে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় বরখাস্ত হন টাইবু। তার সঙ্গে বরখাস্ত হন কোচ হিথ স্ট্রিক ও অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার।
ফের পেশাদার ক্রিকেট খেলায় ফেরা প্রসঙ্গে টাইবু জানালেন, এক্ষেত্রে তার ছেলে টাইবু জুনিয়র অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
যুক্তরাজ্যে বসত গড়া টাইবু বলেন, “আমি অনেকবার বলেছি, আমার জীবন আবেগ দিয়ে চলে না; নির্দিষ্ট পরিকল্পনাতেও না। আমার মন যা বলে তাই করি, আমি আমার ভেতরের ডাক উপেক্ষা করতে পারি না।”
“আমি কিভাবে খেলতাম, আমার ছেলে টাটেন্ডা জুনিয়র প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞেস করে। খেলাটার প্রতি তার একটা ভালোলাগা তৈরি হয়েছে। সে আমার খেলা দেখার খুব একটা সুযোগ পায়নি, সে তখন অনেক ছোট ছিল।”
“আমি খুব ফিট আছি, সুস্থ আছি। আমার মনে হয়, ফিটনেসের দিক থেকে আমার আশেপাশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আমি এখনও সেরাদের একজন। আমার মনে হয়, আমি কেমন খেলি তাকে সেটা দেখাতে পারব।”
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক টাইবু। ২০০৪ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের দলের নেতৃত্বে এসে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
২০১২ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে ২৮টি টেস্ট, ১৫০টি ওয়ানডে ও ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন টাইবু।