আপনি যে খাবার খান সেগুলো কেবল দেহের ত্বক, চুল ও ওজনেই প্রভাব ফেলে না, এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও আরো বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি এড়াতে কিছু খাবার পরিহার করতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এমনই কিছু খাবারের কথা তুলে ধরা হলো-
স্যাচুরেটেড ফ্যাট: ক্লিনিক্যাল অনকোলজি অব জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা মতে, খাদ্যতালিকাগত এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট (চর্বি) দুটোই ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। প্যাকেটজাত ভাজা খাবারে প্রচুর ফ্যাট থাকে।
অ্যালকোহল: আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সার রিসার্চ (এআইসিআর) এবং ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড (ডব্লিউসিআরএফ) পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, এক গ্লাস বেভারেজ জাতীয় অ্যালকোহল পানে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
মচমচে আলু ভাজা: ইউকে’স ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি(এফএসএ) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, জনপ্রিয় ক্রিস্পি পটেটো স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। বাদামি রঙের ক্রিস্পি ফ্রাইড জাতীয় খাবার মুখে অন্যরকম স্বাদ আনলেও অ্যাক্রিলামিড তৈরি করতে পারে। শক্তজাতীয় খাবার উচ্চতাপে রান্নার ফলে অ্যাক্রিলামিড উৎপন্ন হয়। এই কেমিকেল শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শক্তজাতীয় কোনো খাবার ভেজে গাঢ় বাদামি রঙ না করে হালকা সোনালি রঙ করে খেতে হবে।
গরম কফি: কফি ও চা খোর ব্যক্তিরা এখনই সতর্ক হয়ে যান। কফি বিপজ্জনক কোনো খাবার নয়, তবে গরম কফি বা চা খেলে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
কোমল পানীয়: ভোজনের পর এক গ্লাস কোমল পানীয় পান করতে কে না পছন্দ করে। অনেকেই জানেন না এক ক্যান কোমল পানীয়ের মধ্যে ১০ চা চামচ সুগার রয়েছে। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। এতে প্রচুর আর্টিফিসিয়াল মিষ্টি রয়েছে। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত, কোমল পানীয়তে থাকা মিষ্টি স্ট্রোক ও স্থূলতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
প্রক্রিয়াজাত মাংস: প্রক্রিয়াজাত মাংসে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সালামি ও বেকনের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসে নাইট্রিট ও নাইট্রেট উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই কেমিকেলগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
মাইক্রোওভেনে তৈরি পপকর্ন: সিনেমা হলে বসে পপকর্ন খাওয়ার অভ্যাস কমবেশি সবারই আছে। মাইক্রোওভেনে তৈরি রেডিমেড পপকর্ন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পপকর্নে কোনো সমস্যা নেই তবে এর প্যাকেট সমস্যার কারণ হতে পারে। ব্যাগের কেমিকেল পপকর্নে ঢুকতে পারে।