ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বেইলি রোড ক্যাম্পাসের ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা প্রিন্সিপাল ও গভর্নিং বডির পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এছাড়া অরিত্রী ‘হত্যাকাণ্ডের’ সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এদিকে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চললেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাতে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তারা জানায়, শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার আশ্বাস দিয়েছেন তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অরিত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকল করেছে বলে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় বাবা-মাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। অরিত্রীকে টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) দিয়ে দেবে বলে তাদের জানায় কর্তৃপক্ষ জানায়।
সোমবার এ ঘটনার পর পরই দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগর নিজ বাসায় চলে যায় অরিত্রী। বাবা-মা ফিরে এসে তাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই আত্মহত্যার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দিনভর ভিকারুননিসার বেইলি রোড ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। দুপুরে ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় কলেজটির প্রভাতী শাখার সিনিয়র প্রধান শিক্ষক জিনাত আকতারকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস।