শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

উপজেলা নির্বাচনে থাকছেন বিএনপির অনেকেই

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:১৯ এএম

বহিষ্কারের হুমকি থাকলেও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির অন্তত ১০ জন চেয়ারম্যান। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এলাকায় অবস্থান ধরে রাখতে এর বিকল্প তাদের নেই। বিএনপির স্থানীয় এসব নেতা গতকাল সোমবার দেশ রূপান্তরকে তাদের এমন অবস্থানের কথা জানান। তবে বেশিরভাগ চেয়ারম্যান ও নতুন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্তই মেনে নিয়েছেন। এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন, দলীয়ভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত তারাও নিয়েছেন। অবশ্য স্থানীয়ভাবে নিজ উদ্যোগে কেউ নির্বাচন করতে চাইলে আপত্তি থাকবে না দলের। তবে তারা দলীয় ব্যানারে প্রচার করতে পারবেন না। 

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কোনো কোনো স্থানীয় নেতার উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলীয়ভাবে। এখন কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। বহিষ্কৃত কেউ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করলে বিএনপির কিছু করার নেই। সেটা তার অধিকার।

নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক দোহার উপজেলার চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। দেশ রূপান্তরকে তিনি বলেন, ‘বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরও আমি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হব।’ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা জানান, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে হলেও তিনি নির্বাচনে নামবেন। বলেন, দল যদি বহিষ্কার করে তো করুক। এই দলের বহিষ্কার তো আর স্থায়ী হয় না। সময়ের ব্যবধানে আবার তুলে নেবে। এটা নিয়ে আপসোস নাই। তার দলীয় কোনো পদ নেই বলেও জানান তিনি। আতা জানান, তার মতোই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বশিরউদ্দিন, ঘিওরের লিয়াকত আলী, দৌলতপুরের তোজাম্মেল হক তোজা।গত ১৫ জানুয়ারি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। ফলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে না। কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাকে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

বাগাতিপাড়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মিঠুু বাগাতিপাড়া উপজেলায় নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ছিলেন। তার বড় ভাই ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি তারিকুল ইসলাম টিটু এ বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তবে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। পিরোজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, তার জেলার চারটি উপজেলার তিনটিতে বিএনপির চেয়ারম্যান রয়েছেন। আরেকটিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা চেয়ারম্যান। এই চারজন চেয়ারম্যান উদীয়মান নেতা। তারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। বগুড়ার ধুনটের চেয়ারম্যান এ কে এম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যাকে নেতা মানি, তার সিদ্ধান্ত মানব। শুধু আমি না, দলের সকলেরই মানা উচিত।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত