রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

নিশ্চিত জয়

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪৪ এএম

ফখরুল ইসলাম, সিলেট : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা) আসনটি মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা এই আসন থেকে শুরু করে। এই আসনে বরাবরই হেভিওয়েট প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। নির্বাচনে বিএনপি নেই। আওয়ামী লীগ থেকে হেভিওয়েট প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ভোটে লড়লেও মাঠ প্রায় খালি। ভোটযুদ্ধে তার কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাই খালি মাঠেই গোল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ড. মোমেন।

নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক (মিনার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইউসুফ আহমদ (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের সোহেল আহমদ চৌধুরী (ডাব) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আবদুল বাছিত (ছড়ি)।

এই আসনে ড. মোমেন ছাড়া অন্য প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারের কাছে প্রায় অচেনা। তাদের রাজনৈতিক সংগঠনও নামসর্বস্ব। নির্বাচনের মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি থাকলেও তাদের প্রচার-প্রচারণাও নেই। চোখে পড়ছে না তাদের নির্বাচনী পোস্টার-লিফলেট। ভোট চেয়ে তাদের পক্ষে মাইকিংও শোনা যায় না।

সাধারণ ভোটাররা জানান, এই আসনে নির্বাচনী আমেজ নেই বললেই চলে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের কোনো তৎপরতা নেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোমেনের পোস্টারই কেবল চোখে পড়ে। মাঝেমধ্যে নৌকায় ভোট চেয়ে মাইকিংও শোনা যায়। এ অবস্থায় সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন ড. মোমেনের বিজয় সময়ের ব্যাপারমাত্র। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোমেন ও তার কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন। নির্বাচনী সভায় তিনি জোর দিচ্ছেন ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট শাখার সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট-১ আসনে একতরফা নির্বাচন হচ্ছে। একজন প্রার্থী ছাড়া অন্য কারও দেখা মিলছে না।’

সিলেট-১ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির খন্দকার আবদুল মালেক সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বিএনপির প্রার্থী এম সাইফুর রহমানকে পরাজিত করে সাংসদ হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এম সাইফুর রহমানের কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে হেরে যান সাইফুর রহমান। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত