মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জয় প্রায় নিশ্চিত। বিরোধী প্রার্থীরা এলাকায় অনেকটাই অপরিচিত। তাই ফুরফুরে মেজাজে আছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আসনটিতে শেষ পর্যন্ত তিনজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। আনিসুল হক ছাড়াও রয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শক্তিশালী কাঠামো থাকলেও বাকি দুজনেরই পুরো এলাকায় সাংগঠনিক কোনো অস্তিত্ব নেই।
অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বাবা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রখ্যাত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ১৯৭০ সালে এ এলাকা থেকে এমএনএ ও ১৯৭৩ সালে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে এ আসনে তিনি বিএনপির মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদের কাছে হেরে যান। ১৯৯৬ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট শাহ আলম। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে যান সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের কাছে। ২০০৮ সালে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন অ্যডভোকেট শাহ আলম। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শাহ আলমকে হটিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে আসেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনেও তার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনিই আগামী দিনের কসবা-আখাউড়ার এমপি, এটি এখন মানুষের মুখে মুখে।
আনিসুল হক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দেড় হাজার বেকারকে চাকরি দিয়ে এলাকায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসিন্দা ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ব্রাহ্মণবড়িয়া-৫ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা দরবার শরীফের পীর তিনি। তবে শাহীন খানের তেমন কোনো পরিচিতি নেই।