রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১১০ কোটি টাকার জমি ক্রয় করে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্য দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। গতকাল সোমবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন মামলার প্রধান আসামি শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী শিরিন আকতার, ছেলে শেখ রাফা হাই, শেখ ছাবিদ হাই অনিক, ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না ও জমি বিক্রেতা ক্যাপিটাল বনানী ওয়ান লিমিটেডের মালিক আমিন আহমেদ।
দুদকের তদন্ত সূত্রে দেখা গেছে, আবদুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ আগস্ট ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় ক্রয়ের জন্য জমির মালিক আমিন আহমেদের সঙ্গে চুক্তি করেন। পরে একই বছরের ১৬ অক্টোবর ১৮ কাঠা ৯ কোটি টাকায় এবং ১২ দশমিক ২৫ কাঠা ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্য ধরে দুটি দলিলে রেজিস্ট্রি করেন। দুটি দলিলে জমির মূল্য দেখানো হয় ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
দুদকের তদন্ত সূত্রে আরও দেখা গেছে, আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে বিভিন্ন ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ১১০ কোটি টাকার জমি ক্রয় করে তার স্ত্রী, সন্তান ও ভাইয়ের নামে দলিল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বৈধ করার চেষ্টা করেন। দলিলদাতা আমিন আহমেদ তাকে এ কাজে সহায়তা করেন। দুদকের তদন্তে তাদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডাারিং আইন ২০১২-এর ৪ (২) এবং ৪(৩) ধারায় একটি মামলা করা হয়।
দুদকের তথ্যমতে, ১১০ কোটি টাকায় ক্রয় করে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগে গত বছরের ২ অক্টোবর বাচ্চুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।