সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বিএসএমএমইউতে সেমিনার

বায়ুদূষণে শিশু-বয়স্করা অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত

আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ১১:৪৬ পিএম

শিশু ও বয়স্করা অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকরা। তারা এই রোগের জন্য বায়ুদূষণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত অ্যাজমা (হাঁপানি) রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা, সর্বাধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা দেয়া ও জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ‘আপডেট অফ অ্যাজমা ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো, নূরুল হক অ্যাজমা রোগের চিকিৎসার পাশিপাশি রোগ প্রতিরোধ, রোগ নিয়ন্ত্রণসহ যথাযথ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আরো বেশি করে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিশেষ অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এই রোগের চিকিৎসায় দেশের সকল চিকিৎসক, বিশেষ করে যেসকল চিকিৎসক দেশের রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তাদের এই রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ে সম্যক ধারণা ও চিকিৎসা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

পালমোনারি হাইপারটেশন সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই বৈজ্ঞানিক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ—উপাচার্য (একাডেমিক) ও সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

সেমিনারে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, গত এক দশক ধরে পালমোনারি হাইপারটেশন সোসাইটি এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, পুনবার্সন ও সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি এ্যাপ্রোচ এর মাধ্যমে জটিল এই কন্ডিশনে আক্রান্ত অসহায় রোগীদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই সোসাইটি পালমোনারি হাইপারটেশনসহ বক্ষব্যধি বিষয়ক রোগের সেবা দিতে অনন্য অবদান রাখছে।

এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ২৬ কোটিরও বেশি লোক অ্যাজমায় ভুগছেন, যা বিশ্বের জনসংখ্যার ৮-১০ শতাংশ। বায়ুদূষণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। শিশুরা ও বয়স্করা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই অ্যাজমা রোগ সম্পর্কে চিকিৎসক, রোগী সকলকেই সচেতনতা, অ্যাজমা শিক্ষা এবং এর চিকিৎসার অত্যাধুনিক তথ্যাদি জানা প্রয়োজন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ—উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মানাল মিজানুর রহমান।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত