সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

নিহত ৫০

রাখাইনের বাসিন্দাদের প্রস্রাব পান করিয়ে নির্যাতন!

আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ১১:২০ পিএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো একথা জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানায়, গ্রামটিতে আড়াইদিন ত্রাসের মুখে ছিল মানুষজন। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করেছে সেনারা। গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলেছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতেও বাধ্য করেছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির সমর্থকদের খুঁজছিল, যেটি মিয়ানমারের সবচেয়ে কার্যকর জাতিগত বাহিনীর একটিতে পরিণত হয়েছে।

১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জনকে ‘সহিংস নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)। আরাকান আর্মির ধারণা মৃতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হবে। মিয়ানমারের তিন বছরের গৃহযুদ্ধে সংঘটিত সবচেয়ে জঘন্যতম নৃশংসতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল বা জান্তা সরকার।

এক নারী বলেন, তারা পুরুষদের জিজ্ঞাসা করছিল যে এই গ্রামে আরাকান আর্মি আছে কি না। এক্ষেত্রে তারা উত্তর না দিলেও তাদের ওপর নির্যাতন করেছে মিয়ানমারের সেনারা।

মাত্র ছয় মাসের মধ্যে, আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে সামরিক বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।তারা গত বছর সেনাবাহিনীর সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি শেষ করে এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে সম্মিলিত অভিযানে দেশের অন্যান্য অংশের জাতিগত বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দেয়।

আমি নিজের চোখে দেখেছি সামরিক গাড়িতে তুলে আমার স্বামীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার ছেলেকে আমাদের দুজনের কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছে। আমি জানি না সে কোথায় আছে। এখন আমি এও জানি না যে আমার স্বামী-সন্তান বেঁচে আছে না মরে গেছে, এক নারী এভাবেই তার পরিবারের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানান, গ্রামটিতে এক হাজারের কিছু বেশি পরিবারের বাস। তাদের সবাইকে দুইদিন খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়। গরমে পিপাসার্ত লোকজন পানি পান করতে চাইলে সেনারা তাদেরকে পানির বোতলে করে প্রস্রাব পান করিয়েছে। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত