যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চীনকে শিক্ষা দিতে চায়না প্লাস ওয়ান নীতি গ্রহণ করে পশ্চিমা বিশ্ব।
মূলত চীনে বিনিয়োগ এড়াতে এবং অন্যান্য দেশে ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার জন্য বা ভারতের মতো অন্যান্য প্রতিশ্রুতিশীল উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে উৎপাদনে বিনিয়োগকে চালিত করার ব্যবসায়িক কৌশলকে বলা হয় চায়না প্লাস ওয়ান নীতি।
আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে চীন থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে বহু সংস্থা। আর এসব কোম্পানির বিনিয়োগ টানতে সমর্থ হচ্ছে ভারত। বিশ্ব অর্থনীতিতে চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুবিধা ভোগ করছে ভারত। রপ্তানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে দেশ
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত এবং ভিয়েতনামকে বেছে নিচ্ছে প্রায় ৩৩ শতাংশ কোম্পানি।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আর্থিক সেবা গ্রুপ এবং বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ব্যাংক নোমুরার জানিয়েছে যে, এই নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনের পরিবর্তনের ফলে ভারতের রপ্তানি ২০২৩ সালের ৪৩১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সাল নাগাদ ৮৩৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
১৩০টি সংস্থার জরিপ এবং চায়না প্লাস ওয়ান নীতির কারণে পরিবর্তিত অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে নোমুরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে বেশীরভাগ বিনিয়োগ বেড়েছে। এছাড়া সৌর শক্তি, ওষুধ এবং প্রতিরক্ষা খাতও চায়না ওয়ান প্লাস নীতির সুবিধা পাচ্ছে।
ভারতের উন্নয়নের প্রচেষ্টায় আস্থা রেখে ২০১৮ সালেই দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কারখানা খুলেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি।
নোমুরা প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে যে তাদের ধারণা ভারতীয় কর্পোরেট সেক্টর মধ্য মেয়াদে ১২-১৭ শতাংশ আয় বৃদ্ধি বজায় রাখতে পারবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চায়না প্লাস ওয়ান কৌশলের প্রধান সুবিধাভোগী হচ্ছে ভিয়েতনাম। কারণ সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে ভিয়েতনামে। অন্যদিকে মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনসহ অন্যান্য কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশও এই নীতির কারণে উপকৃত হচ্ছে।