রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে এক পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে আরেক কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাওসার আলী মানসিকভাবে যে অসুস্থ ছিলেন, আমরা তা জানতাম। তবে চিকিৎসক যখন তাকে রোগমুক্তির সনদ দেন, তখন তাকে দায়িত্বে ফেরানো হয়।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজারবাগে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘একজন চিকিৎসক যখন তার বিষয়ে বলেছেন তিনি ফুললি ফিট ফর জব, তখন তাকে কাজে আবার নিয়োজিত করেছি। তবে এ ধরনের সদস্যদের নিয়োগের আগে ভবিষ্যতে আরও বেশি সতর্ক থাকব আমরা।’ আইজিপি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। পুলিশে বেসিক ট্রেনিংয়ে স্ট্রেস (চাপ) ম্যানেজমেন্ট কী হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে কী ধরনের স্ট্রেস হতে পারে, মনোবিজ্ঞানীরাও ক্লাস নিয়ে থাকেন; পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও ক্লাস নেন। বিশেষ ইউনিট যেমন ডিএমপি অথবা কোনো জেলায় একজন সদস্যের পোস্টিং হয়, সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গার ডিউটি প্যাটার্ন অনুযায়ী ব্রিফিং করা হয়, ওরিয়েন্টেশন কোর্সও করানো হয়। এ ছাড়া ডিউটির ধরন অনুয়ায়ী কী ধরনের স্ট্রেস হতে পারে সে বিষয়েও মাঝেমধ্যে ব্রিফিং করা হয়।’
বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে আপনি নিশ্চয় অবগত। তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনে পুলিশপ্রধান হিসেবে আপনি কতটা বিব্রত? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো আসছে সেগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে জিনিসটা বের হয়ে আসবে। যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক দিক আসে, সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকি। এ ছাড়া যখনই কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে, তখন প্রত্যেকটি বিষয় যথাযথভাবে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
জুনিয়র সহকর্মীদের উদ্দেশে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো মেসেজ আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালনের দিক থেকে ইতিবাচকভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। একসময় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দেশকে ছেয়ে ফেলেছিল। সে অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছি।’