তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার গুরুত্ব এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তাই মিডিয়া এবং তথ্য স্বাক্ষরতায় দক্ষতার বিকল্প নেই, বিশেষ করে মিডিয়া কর্মীদের জন্য এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি।
এই বিষয় নিয়েই আজ রবিবার রাজধানীর শ্যামলীর একটি অডিটোরিয়ামে সাংবাদিক, এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন।
বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বাংলাদেশও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বিশেষ করে অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যের উৎস ও মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে এ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা নানা ধরনের নেতিবাচক ও স্পর্শকাতর ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার, গুজব, ফেক বা ভুঁয়া তথ্যের ব্যবহার, উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার ইত্যাদি। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারিসহ মানবাধিকারকর্মীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, গুজব, ভুয়া তথ্য বুঝা ও শনাক্তকরণে দক্ষ ও সচেতন করে তুলতে এই কর্মশালার আয়োজন।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে অনলাইন বিদ্বেষ সহিংসতাকে আরও উস্কে দেয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে, এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলে। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য, জলবায়ু, গণতন্ত্র, জেন্ডার সমতা, নিরাপত্তা, এম এক্টিভিস্ট এবং মানবাধীকার্মীদের ভুল তথ্য ও অপতথ্য শনাক্ত করার বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে সাধারণ মানুষের সঠিক তথ্য প্রাপ্তির দ্বারে নিয়ে যাওয়াই এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আর্টিকেল নাইনটিন বাস্তবায়তি ‘এমপাওয়ারিং জার্নালিস্ট, অ্যাকটিভিস্ট অ্যান্ড এইচআরডি টু আইডেন্টিফাই ফ্যাক্ট ফ্রম ফেক’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করে। দিনভর এই কর্মশালায় অংশ নেন বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মীসহ প্রায় ২৫ জন।
আর্টিকেল নাইনটিন একটি আর্ন্তজাতকি মানবাধিকার সংস্থা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। এটি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করণের ক্ষেত্রে কাজ করে। সংস্থাটি ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করে আসছে।