গত সাতদিন অন্ধকার আর আতঙ্কের মধ্য দিয়ে পার করছে পুরো বাংলাদেশ। ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন, প্রশাসনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর হামলায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ফলে স্থবির হয়ে যায় জনজীবন, নেমে আসে সরকারের দেওয়া কারফিউ। এহেন পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল নেট, অনেকের বাসায় ছিল না বিদ্যুৎ, গ্যাস। সংকট ছিল খাবার পানিরও।
সেই আতঙ্কিত সময় পেরিয়ে স্বস্তির দেখা মিলছে ক্রমশ। ফের কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে গোটা দেশ। কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। বন্ধ থাকা ইন্টারনেটও চালু করা হয়েছে স্বল্প পরিসরে। তারপরও এই সাতদিনে যে ক্ষত তৈরি হলো দেশের বুকে তা ভুলে যাওয়ার নয়। এই ক্ষতে এখনও ব্যাথা অনুভব করছেন অভিনেতা আবুল হায়াত।
দেশে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা অস্থিরতা প্রসঙ্গে অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘১৮ জুলাই আমি কেঁদেছি। মৃত্যুর খবরে আমার কান্না থামাতে পারছিলাম না। বাচ্চাগুলোর একটার পর একটা মৃত্যুর খবর আসছিল, কিছুতেই কান্না আটকে রাখতে পারিনি। আমি অসুস্থ, এখন বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকি, কোথাও বের হই না—আমি তো ভাবতেই পারি না, ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে এমনটা হতে পারে!’
দেশের জ্যেষ্ঠ এই অভিনেতা-নির্মাতা জানান, তাদের বিল্ডিংয়ের একটা ছেলে মারা গেছে এই আন্দোলনে, নাম ফারহান ফাইয়াজ। অভিনেতা বলেন, ‘আমি এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি।’