আরিচা স্পিডবোট ঘাট থেকে পুলিশ পরিচয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৭০ ভরি স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান গত ১৬ জুলাই পাবনা যাওয়ার পথে এ ঘটনার শিকার হন।
এ ঘটনার ৬ দিন পর অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫/৬ জনের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে শিবালয় থানায় মামলা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ব্যবসায়ী মিজান পাবনায় সরবরাহের জন্য ৭০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে আরিচা স্পিডবোট ঘাটে যান। পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি মিজানকে থানায় নেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে বসিয়ে আরিচা ২নং ফেরি ঘাটে নেয়। সেখানে থাকা আরও তিনজন দেশি ধারালো অস্ত্রের মুখে মিজানকে একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মিজানকে দিনভর আটকে রেখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সোনা ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা, যার আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকা। এক পর্যায়ে মিজানকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পার্শ্ববর্তী উথলী বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে ছেড়ে দেয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিজান আসামিদের চেহারা দেখলে চিনতে পারবে বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
সিংগাইর গোবিন্দল স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক খলিলুর মেম্বার বলেন, ব্যবসায়ী মিজানকে অপহরণ করে আটকে রেখে তার সঙ্গে থাকা ৭০ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়। এ ঘটনায় শিবালয় থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে মামলা হয়েছে। তবে শিবালয় উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতির নেতৃত্বে আরও ৫/৬ জন বর্তমান ও সাবেক নেতারা এ ঘটনার সাথে জড়িত। মানিকগঞ্জ জেলার শীর্ষ নেতারা বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ সরকার দেশ রূপান্তরকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও দোষীদের ধরার জোর তৎপরতা চলছে।