শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ট্রাম্পের চেয়ারে ইলন মাস্ককে বসিয়ে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম

হোয়াইট হাউজে টেসলা তথা স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের ক্ষমতার পরিধি ক্রমশ বেড়েই চলছে। সর্বশেষ তাকে নবগঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ বা ডোজের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইলন মাস্কের এমন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী চলছে তর্ক-বিতর্ক।

এরই মধ্যে টাইম ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক প্রচ্ছদে ইলন মাস্ককে হোয়াইট হাউসের রেজিলিউট ডেস্কের পেছনে বসানো হয়েছে। এই প্রচ্ছদ ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ম্যাগাজিনটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই)–এর প্রধান হিসেবে মাস্ককে যে নজিরবিহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা এখন আদালতে মামলার কারণে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে তার নীতি বাস্তবায়নের ফলে লাখ লাখ সরকারি কর্মী চাকরির অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে সাংবাদিক সাইমন শুস্টার এবং ব্রায়ান বেনেট লিখেছেন, এখন পর্যন্ত মাস্ক শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে জবাবদিহি করছেন, কারণ ইলন মাস্ক তার নির্বাচনী প্রচারণায় শীর্ষ তহবিল দাতা। মাস্ককে সরকারি প্রশাসনের সংস্কারের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন ট্রাম্প। 

এ বিষয়ে জানতে ওভাল অফিসের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে প্রথমে ‘না’ বলে এড়িয়ে যান। অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে তিনি বলেন, ‘টাইম ম্যাগাজিন কি এখনো ব্যবসা করছে? আমি সেটাও জানতাম না।’

টাইম-এর প্রচ্ছদে মাস্কের উপস্থিতি ট্রাম্পের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, কারণ তিনি বরাবরই এই ম্যাগাজিনের কভার পেজকে সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখেন। ২০২৪ সালে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প ইতিপূর্বে তার নিজের নামে একটি জাল টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ বানানোর জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন।

টাইম–এর কভার কোনো উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বকে ট্রাম্পের ছায়ার বাইরে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তৎকালীন প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননকে ‘দ্য গ্রেট ম্যানিপুলেটর’ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত