পুরান ঢাকার সদরঘাটে অবস্থিত সাড়ে সাত একরের ছোট্ট ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ছোট্ট এই ক্যাম্পাসে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না মেনে মুক্তমঞ্চের পেছনে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হচ্ছে। এসব ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ অর্থাৎ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দিকে খোলা জায়গায় নিয়মিত ময়লা-আর্বজনা ফেলা হচ্ছে। খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশসহ বিভিন্ন বিভাগের অপ্রয়োজনীয় জিনিসও এখানে ফেলা হয়। এতে করে দিনকে দিন স্থানটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। তাছাড়া এই দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেইট দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, নিয়মিত ময়লা আবর্জনা অপসারণ না করে এমন অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় ময়লার ভাগাড়ের দরুণ ৩ নম্বর ফটকটিই বন্ধ হয়ে যাবে। ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন তারা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশী বলেন, ‘আমাদের বিভাগের সামনেই এই ময়লার ভাগাড়। আমাদের এই বিষয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে, দুর্গন্ধে সবাই আমরা বিরক্ত। শিগগিরই এর একটা ব্যবস্থা চাই।’
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাইয়ান রহমান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো মেধার বিকাশের জায়গা, এই মেধার বিকাশের জন্য প্রয়োজন সুস্থ পরিবেশ অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের ভিতর মুক্তমঞ্চের পেছনে ময়লার স্তুপ। পাশেই রয়েছে একাডেমিক বিল্ডিং, ময়লার দুর্গন্ধ তার আশে পাশে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু এখানেই না বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় একই অবস্থা। এটা কি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র হওয়ার কথা ছিলো?’
গণিত বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুবেল রানা বলেন, ‘ছোট্ট একটা ক্যাম্পাস এইখানে যদি ময়লার জন্য চলাফেরা করতে কষ্ট হয় তাহলে তা অনেক কষ্টকর। মুক্তমঞ্চে আমরা একটু বসে আড্ডা দেই,খেলাধুলা ও এইখানে করা হয়। কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে আমরা এখন সেখানে বসতে ও পারি না।’
রেজিস্ট্রার দপ্তরের কেয়ারটেকার শাখার দায়িত্বে থাকা সেকশন অফিসার সাইদ বলেন, ‘খুব শিগগিরই একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। আগে মেয়র তাপসের আন্ডারে ময়লা নেওয়া হতো, তারা পালিয়ে যাওয়ার পর ময়লাগুলো তাও একটা মাধ্যমে নেওয়া হয়।তারা নিজের ইচ্ছা মতো টাকা ও দাবি করছে। আমি শিগগিরই সিটি করপোরেশনের সাথে কথা বলব।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো.তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ময়লা প্রথমে দ্বিতীয় গেইটের পাশে ছিল, বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা ওই খান থেকে সরিয়ে মুক্তমঞ্চের পাশে নেওয়া হয়েছে। ময়লা রাখার আর কোন জায়গা পাচ্ছি না আপাতত।’