বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনার বাঁধে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে সেলফি তোলার সময় নদীতে পড়ে জুনায়েদ রহমান (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
জানা যায়, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার (বাঁধ) এলাকায় যমুনা নদীতে নেমে চার বন্ধু মিলে ফোনে সেলফি তুলছিলেন। একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত যমুনা নদীতে পড়ে ডুবে যায় তারা। অন্য ভ্রমণকারী ও স্থানীয়রা ৩ বন্ধুকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হন জুনায়েদ। আজ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থী জুনায়েদ রহমান বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আরডিএ) উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই এলাকার জাহিদুর রহমানের ছেলে। জুনায়েদের বাবা জাহিদুর রহমান শেরপুরের ফুলতলা দাখিল মাদ্রাসার এবং মা শামীমা আক্তার শেরপুর পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন জুনায়েদ। তাদের সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া একটি মেয়ে আছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শেরপুর উপজেলার পৌরসভার দ্বাড়কিপাড়া এলাকার বাড়িতে জুনায়েদের লাশ বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স এলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
ধুনট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর ডুবুরি দল শনিবার নিখোঁজ শিক্ষার্থী জুনায়েদের মরদেহ উদ্ধার করেছেন।