ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রধান রেলস্টেশনে শনিবার রাতে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে অন্তত ১৮ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জনই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত আটটার দিকে দিল্লি রেলস্টেশনের দুটি প্ল্যাটফর্মে ওই ঘটনা ঘটে। কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড়ের মধ্যে রেলস্টেশনের দুটি প্ল্যাটফর্মে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ) কুম্ভমেলা চলছে। ওই মেলায় যোগ দিতে যাওয়ার জন্য শনিবার বহু মানুষ দিল্লির রেলস্টেশনটিতে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার রাতে মহাকুম্ভের জন্য নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দুটি ট্রেন বিলম্বিত হলে যাত্রীদের মধ্যে আকস্মিকভাবে ব্যাপক ভিড় ও ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয় এবং এতে ১১ নারী ও পাঁচ শিশুসহ কমপক্ষে ১৮ জন মারা যান, বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পরেই শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “পদপিষ্টের ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা কররছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।”
এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ভারতীয় রেলওয়ে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি, গুরুতর আহতদের জন্য আড়াই লাখ রুপি এবং সামান্য আহতদের জন্য ১ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছে।
গত জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে। ছয় সপ্তাহ ধরে এই মেলা চলে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলা শেষ হবে। এরই মধ্যে ৫০ কোটি মানুষ এই মেলায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।