যুদ্ধে জয়ীদের প্রকৃত বীর বলা হয়। হাদিসে অন্য এক শ্রেণির লোকদেরও প্রকৃত বীর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, যারা মুহূর্তেই নিজের রাগ দমন করতে পারে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়। বরং সেই প্রকৃত বীর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। (সহিহ বুখারি ৫৬৮৪)
রাগ মারাত্মক এক ব্যাধি। শয়তানের প্ররোচনায় তা হয়ে থাকে। এটা কারও জন্য নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। রাগের বসে আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। প্রতিটি কর্মে অধৈর্য হয়ে পড়ে। তাই মানুষের জন্য রাগ এক ভয়ানক শত্রু। রাগ থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। রাগের সময় অজু করলে, বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ালে, ‘আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম’ এবং দরুদ শরিফ পড়লে রাগ কমে যায়।
যে ব্যক্তি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়, তার জন্য রয়েছে মহা সুসংবাদ। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার রাগ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে তা অন্য কিছু সংবরণে নেই। (ইবনে মাজাহ ৪১৮৯) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি নিজের রাগকে কার্যে পরিণত করার ক্ষমতা রেখেও তা সংবরণ করে, আল্লাহ তাকে কেয়ামতের দিন সমগ্র সৃষ্টির সামনে ডেকে এনে বিশেষভাবে সম্মানিত করবেন।