আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশের বইমেলায় কথাপ্রকাশের ২৫ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে ‘আলোকচিত্রপুরাণ’। বইটির রচয়িতা আলোকচিত্রশিল্পী ও গবেষক সাহাদাত পারভেজ। বইটি প্রকাশ করেছে ‘কথাপ্রকাশ’।
বাংলা সাহিত্যের যখন যৌবনকাল, ‘ফটোগ্রাফি’ তখন শিল্পমাধ্যমে কেবল হামাগুড়ি দিচ্ছে। নব জাগরণের স্বর্ণসময়ে শিল্পের এই নবতর মাধ্যমকে বিস্তৃতভাবে তুলে ধরতে এগিয়ে আসেন হাতেগোনা কয়েকজন রেনেসাঁ মানুষ। তাদের ধ্যানমগ্নতা আর শানিত ভাবনায় বাংলায় ফটোগ্রাফিচর্চার এক শক্তিশালী পাটাতন নির্মিত হয়।
১৮৮৫ সাল থেকে ১৯৪৭: এই ছয় দশকে ফটোগ্রাফি নিয়ে প্রবন্ধ লিখেন অমৃতলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, আদীশ্বর ঘটক, মন্মথনাথ চক্রবর্তী, আনন্দকিশোর ঘোষ, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, মহিমচন্দ্র ঠাকুর, সুকুমার রায়, সুকুমার মিত্র, আর্য্যকুমার চৌধুরী, পরিমল গোস্বামী, সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, চারু বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র দেব, প্রসাদদাস রায়, অনিলচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত ও গোলাম কাসেম ড্যাডি। বাংলা ভাষায় রচিত এই আদি প্রবন্ধগুলো এক মলাটে বন্দি করার উদ্যোগ এ দেশে এটাই প্রথম।
বাংলায় ক্যামেরা আসে ১৮৪০ সালে। কিন্তু শিল্পসৃষ্টির এই জাদুযন্ত্রটি সাধারণ মানুষের নাগালে আসতে সময় লাগে আরও অন্তত চল্লিশ বছর। ডাগুয়েরোটাইপ, ক্যালোটাইপ, গ্লাস প্লেট নেগেটিভ আর সেলুলয়েড যুগের পর ডিজিটাল ফটোগ্রাফি এখন দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে। বর্তমান কালে ফটোগ্রাফিকে বলা হয় দৃশ্যশিল্পের সবচেয়ে কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। বাংলায় এই মাধ্যমের প্রায় ২০০ বছরের যে গৌরবযাত্রা; তার নানা পর্বে আলো ফেলে সাহাদাত পারভেজ নির্মাণ করেছেন আলোকচিত্রপুরাণ।
বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী আনিসুজ্জামান সোহেল। ৩৬৮ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ৭০০ টাকা, যা মেলায় পাওয়া যাবে ৫২৫ টাকায়।