সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

সামিটের ১৯১ ও নাবিলের ৭৩ ব্যাংকের হিসাব অবরুদ্ধ

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৪ এএম

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, পরিবার এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ১৯১ হিসাবের ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকার ব্যাংক হিসাব  ও নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, তার পরিবারের সদস্য এবং তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও ৫৯ দশমিক ১৪৩৬৫ একর জমি অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন।

সামিট গ্রুপের অবরুদ্ধের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক আলমগীর হোসেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সামিট গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগসহ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে তাদের নামে সঞ্চয়ী, এফডিআর ও অন্য হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়। এসব হিসাবসমূহে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। যেকোনো সময় এসব অর্থ উত্তোলনপূর্বক বিদেশে পাচার/গোপন করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ১৯১টি ব্যাংক হিসাবে জমা ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

একই আদালত নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, তার পরিবারের সদস্য এবং তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও ৫৯ দশমিক ১৪৩৬৫ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে। ৭৩টি ব্যাংক হিসাবে আছে ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৮০ টাকা আছে। জব্দ সবগুলো জমিই রাজশাহীর পবা থানার বীরগোয়ালীয়া মৌজার।

কমিশনের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ  বিষয়ে আবেদন করেন। ব্যাংক অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়, নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা ও সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক  থেকে ঋণ গ্রহণপূর্ব আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। হিসাবসমূহের অর্থ যেকোনো সময় উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তর, রূপান্তর কিংবা স্থানান্তরিত হয়ে বিদেশে পাচার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত