জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখার দাবিতে সারা দেশে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারা দেশে ইসি কার্যালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠপর্যায়ের সব কার্যালয়ে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ শীর্ষক এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
গতকাল বুধবার ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনআইডি নিয়ে সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি। কমিশন আমাদের দাবি আমলে নিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। কমিশনের চিঠির পর এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এজন্য আমরা কর্মসূচিতে যাচ্ছি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন-ইসি কর্মীরা সারা দেশে নিজেদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচিতে আমরা অফিসের সামনে অবস্থান নেব। সংগত কারণে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাতে অবস্থান নেবেন, এ সময় আমাদের কাজ তো আমাদের করার সুযোগ নেই। সুতরাং কাজ বন্ধ করেই আমাদের সামনে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে অন্য কোথাও না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আমরা ৫ মার্চ সিইসির (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে চেয়েছি, কমিশনের পক্ষ থেকে পেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। আমরা ঘোষণা করেছিলাম, ১২ মার্চের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে কর্মসূচি দেব।’
‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা করে।
এর আগে গত ৫ মার্চ একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।