চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করা হয়েছে। আদালত আগামী ২৩ মার্চ শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনও (পিবিআই) এই মামলার তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করেছিল। তাসফিয়ার পরিবারের দাবি, তিন সংস্থার কেউই নিরপেক্ষ তদন্ত করেনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম খলিলের আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করেন মামলার বাদী তাসফিয়ার বাবা মো. আমিন।
চট্টগ্রাম নগরের সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল তাসফিয়া। ২০১৮ সালের ১ মে কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় তাসফিয়া আমিন। বন্ধু আদনান মির্জার সঙ্গে গোল পাহাড় মোড়ের চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যান তিনি। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬ টা ৩৭ মিনিটে বের হয়ে একা সিএনজি অটোরিকশায় উঠে তাসফিয়া। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২ মে নগরের পতেঙ্গায় নেভাল একাডেমির কাছে কর্ণফুলী নদীর তীররক্ষা পাথরের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ মে দুপুরে আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা মো. আমিন।
একই দিন সন্ধ্যায় নগরের মুরাদপুর থেকে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি।