মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

এনআইডির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে ‘অপারেশনাল হল্ট’

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:০৯ এএম

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এনআইডি ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে পরদিন থেকে অর্ধদিবস অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি পালন করবে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন থেকে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এর আগে সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন ইসি কর্মকর্তারা। ইসি সচিবালয় ও সারা দেশের অফিসের বাইরে দুপুর একটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এ মানববন্ধন চলবে। এ সময় এনআইডিসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ থাকে। মানববন্ধন থেকে ইসির অধীনে এনআইডি রাখতে বিভিন্ন স্লোাগান দেয়। সঙ্গে দাবিসংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।

বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক  মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে যদি কার্যকর পদক্ষেপ না দেখি, এনআইডি আইন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সেবা পুনর্বহাল না করা হয়, তবে বুধবার থেকে অর্ধদিবস ‘অপারেশনাল হল্ট’ পালন করব। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। এ সময় এনআইডি  সেবা বন্ধ থাকবে।

আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আমরা মনে করি, এনআইডির কার্যক্রমটা ইসির অধীনেই থাকা উচিত। এর বাইরে যদি কাঠামোগত  কোনো বিষয় থেকে থাকে, এ বিষয়ে আমার কাছে বাড়তি কোনো তথ্য নেই। এই ব্যবস্থাটা আমরা গড়ে তুলেছি ২০০৭ সাল থেকে। আমাদের কারিগরি দক্ষতা আছে। এখান থেকে আমরা কাম্য সেবা দিচ্ছি এবং এখান থেকে সেবা সম্প্রসারণের ক্ষেত্র তৈরি করছি। কাজেই যেটা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি, সেই পদ্ধতিটিকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার চেয়ে প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতিকেই সম্প্রসারণ করা যৌক্তিক বলে মনে করি। এটাই আমরা বারবার বলে আসছি।

ইসির অধীনেই এনআইডি সুরক্ষিত কি না জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ১৮২টি সংস্থা ইসির কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছে। অন্যান্য সংস্থাও তথ্য নিচ্ছে। সুরক্ষিত বলেই তারা তথ্য নেয়।

ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, যারা মানববন্ধন করেছেন তারা আমাদেরই সহকর্মী। তাদের দিক দিয়ে দাবি ঠিক আছে।

সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তারা আন্দোলন করতে পারে কি না জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, কারোরই  ভোগান্তি হোক এটা আমরা চাই না। কিন্তু এটি নিষ্পত্তি করতে যদি  দেরি হয়ে থাকে সেটার জন্য নিশ্চয়ই যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে। সেই কারণ নিষ্পন্ন হলেই ভোগান্তি থাকবে না।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত