চলছে রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত। মাগফিরাত অর্থ ক্ষমাপ্রার্থনা করা। এ সময়ে মহান আল্লাহ বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করে থাকেন। তাই ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় করা জানা-অজানা আমাদের যত গুনাহ আছে সেসব গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হৃদয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা কাম্য। এ সময়ে ফরজের পাশাপাশি বেশ কিছু নফল ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি, যা তার ক্ষমা লাভে অত্যন্ত সহায়ক হবে। সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
কোরআন তেলাওয়াত : কোরআনের প্রতিটি হরফ পাঠের বিনিময়ে দশটি করে নেকি দেওয়া হয়। আর রমজানে প্রতিটি নেকিকে ৭০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তাই এ মাসে কোরআন তেলাওয়াতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি সওয়াব হবে। রমজানে সহিহভাবে কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি অর্থ বুঝে এবং নিজ জীবনে ধারণ করার মাধ্যমে ক্ষমা লাভ করতে পারি।
জিকির ও ইসতেগফার : মহান আল্লাহর ক্ষমা ও নৈকট্য লাভে দোয়া, জিকির ও ইসতেগফারের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। মহান আল্লাহ কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো। সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।’ (সুরা আহজাব ৪১-৪২)
তাহাজ্জুদ আদায় : নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন আপনার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, আপনার রব আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে।’ (সুরা বনি ইসরিইল ৭৯) রমজান মাসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় তুলনামূলক সহজ। যেহেতু সাহরির জন্য ঘুম থেকে উঠতেই হয়, তাই আমরা চাইলে কিছু সময় আগে উঠে সহজেই তাহাজ্জুদ আদায় করতে পারি।