বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সিইসি-ইইউ বৈঠক

আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৬ এএম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সহায়তার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করব। এই প্রস্তাবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশনও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গতকাল রবিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্দেশে তিনটি বার্তা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মাইকেল মিলার বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের দ্বিতীয় সভা। আজ আমি নির্বাচন কমিশনকে তিনটি মূল বার্তা দিয়েছি। প্রথমত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই দেশের জন্য একটি দৃঢ় অংশীদার এবং আমরা এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সময়ে আপনার পাশে আছি। দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে তার অংশীদারত্বকে সকল দিকে শক্তিশালী করতে চায় এবং আমরা এখানে অন্তর্র্বর্তী সরকারের উচ্চাকাক্সক্ষাকে সমর্থন করতে এসেছি, যাতে তারা গত বছর আপনার নিজস্ব নাগরিকদের দ্বারা প্রকাশিত প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। এবং তৃতীয় বার্তাটি হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই  দেশে নির্বাচন পরিচালনাকে সমর্থন করবে।

পৃথক ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ইইউ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযেগ্য নির্বাচন চায়। তারা আন্তর্জাতিক মানের একটা নির্বাচন দেখতে চায়। যেটা আমাদেরও ওয়াদা। আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করব, এটা  তো আমরা ঘোষণা দিয়েছি। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি।

ইইউর আর্থিক সহায়তায় প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ওনারা মূলত জানতে  চেয়েছিলেন যে আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি কি আছে। আমরা যা যা করছি তাদের জানিয়েছি। তারা জানতে চেয়েছিলেন ভোটের বাজেট কত, টাকা পয়সা ঠিকমতো আছে কি না, অসুবিধা কোনো রকম আছে কি না? আমরা বলেছি আমাদের টাকা পয়সার কোনো অসুবিধা নেই। সরকারের কাছে বাজেট চেয়েছি। তবে ওনারা আমাদের সাহায্য করতে চান।

সিইসি বলেন, আমরা বলেছি ইউএনডিপি ইতিমধ্যে একটা নিড অ্যাসেসমেন্ট করেছেন। একটা টিম পাঠিয়েছিল তারা। তারা সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ উন্নয়নে সহায়তা করতে চান। তারা আগামী মাসে একটা কর্মশালা করবেন। সেখানে সিভিল সোসাইটি থাকবে। পোলিং এজেন্ট, ভোটার এডুকেশন ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে চেয়েছেন।

নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ইসি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ট্রেনিং দিতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের কিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় সে বিষয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ভোটার এডুকেশন ও পর্যবেক্ষকদের ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। আরও সহায়তা লাগলে জানানো হবে, সর্বোতভাবে সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছেন তারা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত