জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে আবেদনের নিষ্পত্তি করতে আরও ছয় মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেছেন, ‘ভোটার নিবন্ধনের তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম চলার কারণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা তা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। যে চার লাখ আবেদন পেন্ডিং আছে, সেগুলো আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্লিয়ার করতে হবে।’ গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা তিন লাখ ৭৮ হাজারের একটা আবেদন তিন মাসের ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শেষ করার একটি বিষয় আপনাদের বলেছিলাম। তারপর আমাদের একটা প্রক্রিয়া শেষ করে যখন আমরা কাজ শুরু করতে যাই, তখন ২৯ ডিসেম্বর হয়ে যায়। ইতিমধ্যে আড়াই মাস পার হয়ে গেছে। গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সেদিন পর্যন্ত আমরা দুই লাখ ৭৮ হাজার আবেদন শেষ করতে পেরেছিলাম আগের আবেদনসহ। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে আরও তিন লাখ দুই হাজার আবেদন জমা পড়ে।
তিনি বলেন, মাঠে এখন ভোটার নিবন্ধনের কাজ চলছে। অফিসাররা এ কাজে বেশ ব্যস্ত। ২২ মার্চ পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ভোটারের নিবন্ধন হয়েছে। ভোটার নিবন্ধনের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে কর্মকর্তারা এনআইডি আবেদনের কাজে মন দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই চার লাখ আবেদনের সংশোধনে আমরা আগে শেষ করি। ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে ৫ মে। ৫ মে পর্যন্ত ব্যস্ত অফিসাররা। এই ব্যস্ততার কারণে এনআইডি সংশোধনে মনোযোগ দিতে পারিনি। এই জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, আগে ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ হোক। যখন ভোটার নিবন্ধনের কাজটা কমে আসবে, তখন আমরা পুরো মনোযোগ সেখানে দিতে পারব।
এনআইডি সংশোধনের জন্য কাঠামোবদ্ধ কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদন তৈরিতে আমরা ছক তৈরি করেছি। তিনটি ছক, যারা বিদেশে থেকে ভোটার হচ্ছেন, চাকরিজীবীদের জন্য একটি ছক এবং তৃতীয় হচ্ছে জেনারেল ছক। এই কাজ চলছে। প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় যেন নিয়মিত এনআইডি আবেদন সংশোধনের প্রক্রিয়া মনিটর করা যায়, সেই সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে।