বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড মোড়ে আবারও সড়ক অবরোধ করেছে জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা। সোমবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ বিকেল ৫টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর ফলে ইপিজেড মোড়ের উভয় পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে।
শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, মার্চের প্রথম সপ্তাহে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিইপিজেডস্থ জেএমএস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বকেয়া পাওনার দাবিতে গত শনিবারও ইপিজেড মোড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। সেদিন পুলিশ ও বেপজা কর্মকর্তারা গার্মেন্টস মালিকের সঙ্গে কথা বলে সোমবার (২৪ মার্চ) বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু আজ সকাল ১০টায় বকেয়া বেতনের জন্য কারখানা গেটে গিয়ে দেখতে পান কারখানা তালাবদ্ধ এবং ২৫ মার্চ বেতন দেওয়া হবে বলে সেখানে নোটিশ সাঁটানো। এরপর ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইপিজেড মোড়ে গিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মোড়ের দুই পাশে সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী গাড়ি ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরমুখি রপ্তানি পণ্যের গাড়িও রয়েছে।
শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম জোনের পুলিশ সুপার মো. সোলাইমান সোমবার বিকেল ৫টায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, জেএমএস গার্মেন্টস মালিক পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা আগামীকাল (২৫ মার্চ) শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি বেতন পরিশোধের কথা বলছেন, সেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তারাও আশ্বস্ত করেছেন। এখন বিষয়টি শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু শ্রমিকরা আজকের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের দাবিতে এখনো অনড় রয়েছে।
আন্দোলনকারী শ্রমিক আবদুল কাদের দেশ রূপান্তরকে বলেন, জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেড গত ৩ মার্চ কারখানা লে অফ ঘোষণা করা হয়। লে অফের নোটিশে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ এর ধারা ১৫ অনুযায়ী লে-অফ চলাকালীন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাদি গত ২০ মার্চ ব্যাংকের স্ব-স্ব হিসাব মাধ্যমে এবং যাদের ব্যাংক একাউন্ট নাই, তাদের বিকাশ একাউন্টে পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় গত শনিবার শ্রমিকরা ইপিজেড মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল। সেদিন বলা হয়েছিল ২৪ তারিখ বকেয়া বেতন দেবে। কিন্তু আজ সকালে জানতে পারি বেতন দিচ্ছে না। বেতন না পাওয়ার কারণে শ্রমিকরা বাসা ভাড়াসহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ নিযে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। তাছাড়া সামনে ঈদ চলে এসেছে। এ অবস্থায় বকেয়া পাওনা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অবরোধ চালিয়ে যাব।