টাঙ্গাইলের বাসাইলে রঞ্জু খন্দকার (৩৫) নামের এক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রঞ্জু খন্দকার জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খান তার ছেলে মাদকাসক্ত ফরিদ খানকে (২৩) টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন ব্যক্তি মনির খানের বাড়িতে যান। ফরিদকে ঘর থেকে বের করার সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির পলাশ, রিপন, তালেব খানসহ কয়েকজন এগিয়ে আসেন। তারা নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান। এ সময় নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী রঞ্জু খন্দকার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের আরও চারজন আহত হয়েছেন।
বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, ‘হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।’ বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে গাজীপুরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার ভোরে মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস এলাকার একতা মার্কেটের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মনিরুল ইসলাম (১৯)। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ থানার মিল্কি এলাকার আ. সামাদের ছেলে। মনিরুল একতা মার্কেট এলাকায় চা-পানের দোকানদার ছিলেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ওসি মো. কায়সার আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।