শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ওষুধের প্রমোশনাল খরচ ৪-৫ শতাংশের বেশি না

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ এএম

দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো ৪-৫ শতাংশের বেশি প্রমোশনাল খরচ করে না বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জার্নি অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানানো হয়।

সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হালিমুজ্জামান বলেন, ‘প্রমোশন ছাড়া ওষুধ বিক্রির আর কোনো মাধ্যম নেই। চিকিৎসকদের কাছে নতুন ওষুধ ও সংশ্লিষ্ট তথ্য পৌঁছে দিতে হয়। অনেকে বলে কোম্পানিগুলো নাকি প্রমোশনে ৩০ শতাংশ খরচ করে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। স্কয়ার, বেক্সিমকো, রেনেটা এসব কোম্পানি পাবলিক লিমিটেড, তাদের হিসাবপত্র ওপেন। প্রকৃত চিত্র সেখানে খুঁজলেই মিলবে। সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ শতাংশের বেশি কারও পক্ষেই খরচ করা সম্ভব হয় না।’

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় মোহাম্মদ হালিমুজ্জামান বলেন, ‘দেশে ওষুধ শিল্পে টিকে থাকতে ওষুধের দাম “সমন্বয়” করা এখন সময়ের দাবি। চাল, ডাল, তেল, রিকশা ভাড়া সবকিছুর দাম বাড়ছে। ওষুধ উৎপাদন সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল, পরিবহন, কর, গবেষণা ও উন্নয়নসহ প্রতিটি পর্যায়ে খরচ বাড়ছে। অথচ দাম আগের মতোই থাকছে। এই খাতে যদি দ্রুত মূল্য সমন্বয় না হয়, তাহলে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে।’

কর্মশালায় সমিতির মহাসচিব ডা. জাকির হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ১৫১টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। এমনকি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এ রপ্তানির পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’

কর্মশালার শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় এসিআই হেলথকেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. মোহিবুজ্জামান বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সমাপনী বক্তব্য দেন হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত