মঙ্গলবার ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে ১০৫ মিনিট খেলা হওয়ার পর অমিমাংসিত ছিল ফেডারেশন কাপের ফাইনাল। রেফারি সায়মন হাসান আলোক স্বল্পতার কথা বলে খেলা স্থগিত করেন। বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর মধ্যে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচটার বাকি অংশ ২৯ এপ্রিল একই ভেন্যুতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পেশাদার ফুটবল লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। বুধবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসানের সভাপতিত্বে হয়েছে এই সভা।
লিগ কমিটির জরুরী সভা শেষে বাফুফের নির্বাহী সদস্য ও লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরি বলেন, 'লিগ কমিটির জরুরি সভায় ফেডারেশনের কাপের অসমাপ্ত ফাইনাল আগামী মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় একই ভেন্যুতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ের বাকি ১৫ মিনিট খেলা হবে। সেখানেও যদি সমতা থাকে, তবে খেলা টাইব্রেকারে গড়াবে।'
জরুরী সভায় ফাইনালে অংশ নেওয়া দুই দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন কীনা জানতে চাইলে জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, 'এখানে প্রতিনিধি ডাকার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বাইলজ অনুযায়ী কাজ করছি। যেটা করেছি বাইলজ অনুযায়ী সঠিক করেছি।'
২৬ এপ্রিল শনিবার কুমিল্লায় আবাহনীকে লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শীর্ষে থাকা মোহামেডানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের ৪৮ ঘন্টা পর আরেক ভেন্যুতে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বাকী অংশ খেলতে হবে আকাশীদের। তারা এতে সম্মত হবে কীনা সেটা বাফুফের আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার পাওয়ার পর জানা যাবে। এদিকে ফাইনালের বাকী অংশ ময়মনসিংহে খেলতে হওয়ায় অংশ নেওয়া দুই ক্লাবের বাড়তি খরচ হবে। এ ব্যাপারে বাফুফে কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ করবে কীনা জানতে চাইলে জাকির বলেন, 'এই ব্যাপারে আমাদের কোনো আলাপ হয়নি। আমরা আগে খেলা শেষ করতে চাই। পরবর্তীতে যদি কোনো ক্লাব ফেডারেশন বা লিগ কমিটির কাছে আবেদন করে এ নিয়ে তখন আমরা বিবেচনা করব।'
আলোক স্বল্পতায় স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিট শেষ হয়েছিল। দুদল ছিল ১-১ সমতায়। অতিরিক্ত সময়ের ১২ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের বদলী ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম সরাসরি লালকার্ড দেখেন আবাহনীর ফরোয়ার্ড সুমন রেজাকে পেছন থেকে বাজেভাবে ফাউল করায়। তাই আবাহনী খুব করে চেয়েছিল বাকি ১৫ মিনিটে খেলা মঙ্গলবার বিকেলেই শেষ হোক। সেক্ষেত্রে তারা বাড়তি সুবিধা কাজে লাগাতে পারতো। তবে রেফারি সায়মন হাসান সে সুযোগ না দিয়ে ম্যাচ স্থগিত করে দেয়। যা নিয়ে ফুটবল পাড়ায় হচ্ছে নানা আলোচনা ও বিতর্ক।