বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের পরিচিত ও প্রিয় মুখ, নেমেসিস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট জোহাদ রেজা চৌধুরী এবার আলোচনায় এসেছেন এক ভিন্ন পরিচয়ে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রক ব্যান্ডের ফ্রন্টম্যান এবার যুক্ত হয়েছেন দেশের ফুটবল বিপননে। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মার্কেটিং কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
এই পদটি শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত ক্যারিশমা বা পেশাগত জনপ্রিয়তার স্বীকৃতি নয়, বরং ফুটবলের প্রতি তার হৃদয়ের গভীর টানকেও তুলে ধরে।
নেমেসিস ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে জোহাদ তার কণ্ঠে ‘কবে’, ‘ঘুড়ি’, ‘শেষ গান’, ‘অবচেতন’, ‘গণজোয়ার’সহ বহু গানের মাধ্যমে জয় করেছেন তরুণদের হৃদয়। তার কণ্ঠ যেমন সরাসরি কানে পৌঁছায়, তেমনি ফুটবল নিয়ে তার ভাবনাও গভীর এবং স্পষ্ট। সঙ্গীতের মঞ্চ থেকে এবার তিনি পা রাখলেন ক্রীড়াঙ্গনের প্রশাসনিক প্ল্যাটফর্মে।
জোহাদ রেজা চৌধুরী কেবল সংগীতপ্রেমীই নন, বরং দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত এক ফুটবল অনুরাগী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ফুটবল বিশ্লেষণ, ম্যাচ রিভিউ, ও প্রিয় দলের জন্য আগ্রহ বরাবরই প্রশংসিত। এ কারণেই বাফুফের মার্কেটিং কমিটিতে তার অন্তর্ভুক্তিকে দেখা হচ্ছে এক নতুন কৌশলগত সুর হিসেবে—যা পুরনো ছকে নতুন ঢেউ এনে দিতে পারে।
এই কমিটিতে তিনি যেমন আনবেন সৃজনশীলতা ও জনসম্পর্ক দক্ষতা, তেমনি তরুণদের ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট করতেও ভূমিকা রাখতে পারেন। তার জনপ্রিয়তা যদি মাঠের বাইরের এই দলে অনুপ্রেরণা যোগায়, তবে বলা চলে—এ এক নতুন গ্রুভ, যেটি দেশের ফুটবলের জন্য হতে পারে একটি রিদমিক মোড়।
বাফুফের মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ফাহাদ করিম। কমিটির ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কে এম রিফাতুজ্জামান। জোহাদ ছাড়াও এই কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন নুজহাত বারী, ইমরান কাদির, নাফিদ নবি, মোহাম্মদ তাইসির খান, তাসমিত আফিয়াত এবং রাশেদ সামিউল ইসলাম।
এছাড়া ডিজিটাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে রয়েছেন ডেইলিস্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদিন হাসান, যিনি কমিটির সদস্যদের মধ্যে অন্যতম। সেখানে ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন রেজওয়ানুল হক। সেই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন ড. আহমেদ আরমান সিদ্দিকি, ওসমান হায়দার, নাজিয়া তারিক, অমিত হাসান, মাইশা ফারজিমা খান, ব্যারিস্টার মিতি সাঞ্জানা এবং শিহাব হাসান নয়ন।
রকস্টেজ থেকে ফুটবল বোর্ডরুম—জোহাদ রেজা চৌধুরীর এই যাত্রা কেবল এক শিল্পীর বহুমাত্রিক পরিচয়ের উদাহরণ নয়, বরং এটি আমাদের প্রমাণ করে যে, সৃষ্টিশীলতা ও অনুরাগ যখন একসঙ্গে মিশে যায়, তখন তা সমাজের যে কোনও ক্ষেত্রেই আলো ছড়াতে পারে।