মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

পারভেজ হত্যাকান্ড

সেই দুই নারী শিক্ষার্থীকে ধরতে কাজ করেছে র‌্যাব

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ এএম

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই নারী শিক্ষার্থীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে নেমেছে র‌্যাব। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সেই দুই নারী শিক্ষার্থীকে ধরতে কাজ শুরু করেছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম।

র‌্যাব জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধার সদর থানার সাহা পাড়া ভবানীপুর এলাকায় তার চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১ এর একটি দল। হত্যাকাণ্ডের পর মেহেরাজ প্রথমে বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় আত্মগোপন করেন। এরপর আবার অবস্থান পরিবর্তন করে গাইবান্ধায় চাচা শ্বশুরের বাড়ি চলে যান। র‌্যাবের নজরদারিতে তার গতিবিধি ধরা পড়ে যায়। এর আগে গত মঙ্গলবার   গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় কুমিল্লা থেকে মামলার ৫ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজি (২৩)কে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তার মিয়াজি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, আদালতও বলেছে- দুই নারী শিক্ষার্থীকে হাজির করতে হবে। ইতিমধ্যে তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দুজনকে ধরতে র‌্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। লে. কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম বলেন, গাইবান্ধায় মেহেরাজ ইসলাম তার চাচা শ্বশুরের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে  গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার মেহেরাজ ও মিয়াজি হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে গিয়েছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেছেন, তাদের বন্ধু-বান্ধবরা ডেকেছিলেন এবং তারা সেখানে গিয়েছিলেন। হত্যার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন এটি এখনো স্বীকার করেননি। তবে যারা পলাতক রয়েছে তাদেও গ্রেপ্তার করা গেলে মূল ঘটনা জানা যাবে।

আধিপত্য বা প্রভাব বিস্তারে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে আধিপত্য বা প্রভাব  দেখাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মামলার ৬ নম্বর আসামি এখনো পলাতক। তাকে ধরতে পারলে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ জানা যাবে। জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদেও গ্রেপ্তারে এবং হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে র‌্যাব কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

পারভেজ হত্যা : আসামি মাহাথিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবাবন্দি : প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি মাহাথির হাসান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাথির ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের কাছে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে হাসানকে কারাগারে পাঠিনোর আদেশ দেয় আদালত। গত বুধবার চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন আজাদ টাওয়ার এলাকার একটি বাসা থেকে মাহাথিরকে গ্রেপ্তার হয়। মাহাথির এ মামলার অভিযোগের তিন নম্বর আসামি। গত বুধবার একই মামলায় আসামি আল-কামাল শেখ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক ‘দোষ স্বীকার করে’ জবানবন্দি দেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত