মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, আদালতে অভিযুক্ত সকল আসামিকে হাজির করা হয়। বিচারক বাদী আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার, সাক্ষী জলি বেগম ও সাক্ষী ভ্যানচালক রুবেল শেখের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আগামীকাল সোমবার চার্জশিটে উল্লিখিত ৩ থেকে ৫ নম্বর সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হবে। এছাড়া, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি সাক্ষীদের জেরা করেন।
গত ৬ মার্চ মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে আছিয়া তার বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়, যেখানে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
৮ মার্চ আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার সদর থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। তদন্তে ১৫ মার্চ প্রধান আসামি হিটু শেখ (আছিয়ার বোনের শ্বশুর) মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়, যাতে সে একাই দোষ স্বীকার করে। ১৩ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার চার্জশিট দাখিল করেন, যাতে হিটু শেখ, তার স্ত্রী জাহেদা বেগম, জামাতা সজিব শেখ ও সজিবের ভাই রাতুল শেখকে অভিযুক্ত করা হয়। ২৩ এপ্রিল আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এর ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।