ক্রমেই দেশে ফুটসালের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে গড়ে উঠছে ফুটসাল গ্রাউন্ড। অ্যামেচারদের পাশাপাশি প্রোফেশনালদেরও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন পরিচয়ে নিয়মিত ফুটসাল খেলতে। কর্পোরেট জগতে ভীষণ জনপ্রিয়তা পাওয়া ফুটসালে দেশের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
তাই বাফুফের দায়িত্ব নিয়ে একঝাঁক কর্পোরেট ব্যক্তিত্বকে ঠাঁই দিয়েছেন ফুটসাল কমিটিতে। শুক্রবার এই কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদের মালিকানাধীন গ্রাউন্ড এমআই-১০ এরেনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা। যেখানে স্রেফ একটা এজেন্ডা ছিল- এএফসি ফুটসাল এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ।
বাফুফে নীতিগতভাবে এই বাছাইয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফুটসাল কমিটিকে সেই বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ দল গঠন থেকে শুরু করে দেখভালের সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তাবিথ আউয়াল ফুটসালের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলেন, 'বাফুফে চাচ্ছে বেশ গতি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা মাত্রই ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্ট শেষ করলাম। এখন আমরা আরেকটা যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফুটসাল খেলবো। আজকে নির্বাহী কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। বাকীটা এখন প্রস্তুতির বিষয়। সেটা দেখভাল করবে ফুটসাল কমিটি। আমাদের তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।'
বাফুফে সভাপতি ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ঢাকা স্টেডিয়ামে আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ৪ জুন একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের কথা জানান। তবে সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কোন দল সেটা খোলাসা করেননি। নানা সূত্রে জানা গেছে, ভুটানের বিপক্ষে সেদিন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
রেফারিদের নিয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে তাবিথ বলেন, 'ফুটবল একটা বড় পরিবার। এখানে সমস্যা থাকবে, সমাধানও চলমান থাকবে। আমরা কোন সমস্যাকেই অসমাধানযোগ্য মনে করি না। রেফারিরা আমাদের পরিবারেরই একটা অংশ। তারা সবসময় চেষ্টা করে খেলাটা মাঠে রাখার জন্য। তারা অনেক আত্মত্যাগ করেছে, অনেক সময় তারা পেমেন্ট সময় মতো পায় না। অনেক সময় পকেট থেকে খরচ করতে হয়। এজন্য তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আমরা সমাধানের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছি। অবশ্যই সমাধান হয়ে যাবে।'
প্রথমবারের মতো তার সভাপতিত্বে বাফুফের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে বাফুফে ভবনের বাইরে। ফুটবলকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার একটা প্রয়াশ হিসেবে এটাকে দেখছেন তাবিথ, 'দেখুন আমরা ফুটবলকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা রাজশাহীতে কোচেস প্রোগ্রাম করেছি। অফসাইড লোকেশনে আমরা সভা করেছি আগেও। আইএম-১০ এরেনায় আমরা নির্বাহী সভা করলাম। দেশে অনেকগুলো অবকাঠামো আছে, সেগুলো আমরা গুরুত্ব দেই না। ব্যক্তি মালিকানায় ও বিভিন্ন স্কুলের অধীনে অনেক মাঠ আছে। আমরা চাই সেগুলো ব্যবহার করে খেলটাকে উন্মুক্ত করে দিতে।'