শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে ভারতের সেনাবাহিনীর ট্যাংক-মিসাইল-ড্রোন মহড়া

আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম

ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা নদীর অববাহিকায় ‘তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে’ একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তিস্তা প্রহার’।

গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে শনিবার (১০ মে) পর্যন্ত তিন দিন ধরে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। স্থানটি ভারতের ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছেই—যেখানে ভারতের মানচিত্রে মাত্র ১৭ কিলোমিটার প্রস্থের একটি সরু অংশ উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

গুয়াহাটিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, নদীবিধৌত অঞ্চলের জটিল ও প্রতিকূল পরিবেশে যৌথ যুদ্ধকৌশল এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির সক্ষমতাই এই মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, এই মহড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, কৌশলগত অনুশীলন এবং দ্রুত অভিযানে সক্ষমতা পুনরায় প্রমাণ করেছে, যা সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ইঙ্গিত দেয়।

সেনাবাহিনী প্রকাশিত ভিডিও ও স্থিরচিত্রে দেখা যায়, এই মহড়ায় ব্যবহৃত হয়েছে আর্টিলারি ট্যাংক, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল এবং অত্যাধুনিক ড্রোন।

দিল্লিতে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, এই মহড়াকে সাধারণ বা রুটিন সামরিক অনুশীলন হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না, কারণ তিস্তার অববাহিকায় এ পরিমাণ ও পরিসরের সামরিক মহড়ার নজির সাম্প্রতিক কালে আর নেই।

লন্ডনভিত্তিক ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেব সরকার মনে করেন, এই মহড়ার মাধ্যমে ভারত ওই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্দেশে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

তার ভাষায়, ‘এতে সূক্ষ্ম এক ধরনের প্ররোচনার উপাদানও রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে সন্তুষ্ট করবে না।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত