বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ জীবন্ত উপন্যাস। মানুষ সাধারণত দেখে, শুনে ও পড়ার মাধ্যমে শিখে থাকে। কিন্তু আমরা আজম ওবায়েদুল্লাহকে দেখেই অনেক কিছু শিখতে পারতাম। ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ একজন কর্মবীর ছিলেন। কবি মতিউর রহমান মল্লিকের শূন্যতা পূরণ হয়েছিল ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহকে দিয়ে।
তিনি বলেন, সূর্যের মূল্য অমাবস্যার রাতে বুঝা যায়। গুণী মানুষ যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন সমাজ তার মূল্য বুঝে না। আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহর মৃত্যুর পর আমরা হাড়ে হাড়ে তা টের পাচ্ছি।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মরহুম ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর স্মরণে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমির ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আ জ ম ওবায়দুল্লাহর তুলনা তিনি নিজেই। মানুষের সাথে দীর্ঘসময় থাকলে কোন না কোন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে, কিন্তু এত দীর্ঘসময় থাকার পরও কারো সঙ্গে ন্যূনতম কথা কাটাকাটিও হয়নি তার। ওবায়েদ ভাইয়ের প্রতিভার শূণ্যতা আমাদের প্রতি মূহুর্তে কাঁদায়।
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামানের সভাপতিত্বে ও কবি অধ্যক্ষ চৌধুরী আব্দুল হালিম এবং গীতিকার গোলাম মোস্তফার যৌথ সঞ্চালনায় স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ড. আবু বকর রফিক আহমদ, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহাম্মদ আলী আজাদী, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর বড় ছেলে উমর মুসান্না, এডভোকেট মুহাম্মদ পারভেজ, শরীফ বায়জিদ মাহমুদ, আমিরুল ইসলাম, মোস্তাক খন্দকার, চৌধুরী গোলাম মাওলা প্রমুখ।