কক্সবাজারের টেকনাফের স্থানীয় এক জেলেকে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ উঠেছিল কোস্টর্গাডের বিরুদ্ধে । কিন্ত ঘটনায় চারদিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ জেলের কোনো ধরনের সন্ধান পায়নি পরিবার। ফলে মরদেহ ফেরত পাওয়ায় অপেক্ষায় বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন জেলে পরিবারের সদস্যরা।
কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, গত সোমবার রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফের তুলাতলী ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি গুলি, ৩০হাজার ইয়াবা সহ তিনজনকে আটক করেছেন।
তারা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও আবদুল শুক্কুর (৪০)। তাদের মধ্যে আবদুল শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, ঘটনারদিন কোস্টগার্ডের গুলিতে মোহাম্মদ তাহের (৪০) নামে একজন জেলে ও নৌকার মালিক মারা যান। ওই জেলেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করেছেন। জেলে মোহাম্মদ তাহের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লানপাড়ার বাসিন্দা। শুরু থেকেই কোস্টর্গাড মিথ্যা কথা বলেছেন। ঘটনায় আটক তিনজনকে উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তাহেরের বড় ভাই মোহাম্মদ কাশিম বলেন, গত সোমবার রাতে তাহেরসহ সাতজন জেলে মাছ ধরতে গেলে কোস্টগার্ডের গুলিতে তাহের ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে লাশটি প্যাকেটে ভরে অটোরিকশায় তুলে শাহপরীর দ্বীপের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা লাশ বুঝে পাননি। লাশটি ফেরত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলে চারদিন অতিবাহিত হলেও ভাইয়ের লাশ ফেরত পাওয়া যায় নি।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, নিখোঁজ তাহেরের পরিবারের পক্ষে চাচা আশরাফ আলীর একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাতে তাহেরের লাশ ফেরত পেতে আইনি সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের সঙ্গে তার কথা হয়েছে ।তারা (কোস্টগার্ড) গুলিবিদ্ধ একজনসহ তিনজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করার কথা জানিয়েছেন। তাহেরের বিষয়টি জানেন না বলে জানায় তারা। পরে গত মঙ্গলবার এর প্রতিবাদে টেকনাফে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে জেলের মরদেহ ফেরতের দাবি জানানো হয়।