শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ওখানে গেলেই মন ভালো হয়ে যায়: পরীমণি

আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম

বেশ কয়েক বছর পর পরীমণির এবারের ঈদ (ঈদুল আযহা) কেটেছে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়াতে। যা তার নানাবাড়ি। শৈশব-কৈশোরসহ জীবনের অনেকগুলো বছর কেটেছে সেখানে। 

কেমন কেটেছে ঈদ জানতে চাইলে হালের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা বলেন, ওখানে গেলেই মন ভালো হয়ে যায়। ভীষণ আনন্দ করেছি। বেশ কিছুদিন ছিলাম। শুধু গরমটা বেশি ছিল। তবে, আনন্দ করেছি খুব। 

পরীমণি আরও বলেন, বাড়ি থেকে কিছুদূরে একটি বিল আছে। অপূর্ব সুন্দর একটি বিল। ওখানে ঘুরতে গেছি। বিলের দিকে তাকিয়ে সূর্যাস্ত দেখেছি। কী যে ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে জীবনের সেরা সময় পার করছি। মনে হয়েছে এর চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই।

বলা দরকার, ২০২৩ সালের নভেম্বরে নানা শামসুল হক গাজীকে হারিয়েছেন পরীমণি। নানাই ছিল তার সবচেয়ে কাছের মানুষ। ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে পরী বেড়ে ওঠেন নানা বাড়িতেই।

নানাকে কতটা মিস করেছেন জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, আমার জীবনে নানাভাইয়ের অবদান বেশি। যতদিন ছিলাম মনে হয়েছে তিনি কাছাকাছি আছেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন। 

গ্রামের কথা স্মরণ করে এই নায়িকা বলেন, আমার গ্রামের অনেকেই ভেবেছে তাদের সঙ্গে নায়িকার মতো ব্যবহার করব, তারকার মতো আচরণ করব। কিন্তু না। তাদের কাছে আমি পরীমণি। দুনিয়ার সেরা সেরা পুরস্কার পেলেও আমি গ্রামের মানুষের কাছে বদলে যেতে পারব না। বদলাতে চাইও না তাদের কাছে। আমি যা ছিলাম, তাই থাকতে চাই সারাজীবন গ্রামের মানুষের কাছে।

পরী আরও বলেন, ওখানে গেলে আমি হয়ে যাই। আমার ভেতরে যে সরলতা, যে জীবন আমি যাপন করেছি গ্রামে, তাই হয়ে যাই। আমি যত বড়ই হই না কেন, তাদের কাছে আগের পরী থাকতে চাই। এই জীবনটা অনেক সুন্দর।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত