গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২ হয়েছে। গত বুধবার ভোর থেকে চলছে এই হামলা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) গাজার মধ্যাঞ্চলে মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ড্রোন, ট্যাংক ও মেশিনগানের হামলায় মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা।
মধ্য গাজার সালাহউদ্দিন সড়কের কাছে নেতজারিম করিডরে খাদ্য সহায়তা নিতে আসা লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়। এতে ১০০ জনের বেশি আহত হয়।
গাজা শহরের দক্ষিণের জেইতুন এলাকায় এক বাড়িতে বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়। গাজার দক্ষিণের আল-মাওয়াসি শরণার্থী ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে হামলায় আরও আটজন প্রাণ হারায়, যাদের মধ্যে একজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।
মধ্য গাজার মাঘাজি ক্যাম্পে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী, সন্তানসহ ১০ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এসব হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়ে হামাস বলেছে, ক্ষুধার্তদের ওপর হামলা, বাসিন্দাদের উচ্ছেদ এবং তথাকথিত ‘নিরাপদ’ এলাকার সীমাবদ্ধতা এসব এক নিষ্ঠুর গণহত্যার অংশ।
তারা আরও দাবি করেছে, বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) তত্ত্বাবধানে থাকা বিতরণ কেন্দ্রগুলোকেও টার্গেট করা হচ্ছে। আলজাজিরা জানায়, গাজার উত্তরে খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত ২০ জনের মরদেহ পাঁচ দিন ধরে রাস্তায় পড়ে ছিল। পরে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় কার্যালয়ের অনুমতির পর সেগুলো উদ্ধার করে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা।
আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজম জানান, ‘ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ মানুষকে লক্ষ করছে, যারা শুধু খাবার আনতে গিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ড্রোন, ট্যাংক এবং স্নাইপার ব্যবহার করে গুলি চালানো হয়েছে। জিএইচএফের আওতায় মে মাসের শেষদিকে সীমিত সহায়তা দেওয়া শুরু হলেও জাতিসংঘসহ প্রধান মানবিক সংস্থাগুলো এতে অংশ নেয়নি। তাদের দাবি, এই সংস্থা ইসরায়েলি সামরিক উদ্দেশ্যকে অগ্রাধিকার দেয় এবং বাস্তব সহায়তা না করে ধোঁকা দিচ্ছে।