বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

নতুন টেলিস্কোপে দেখা গেল অপার্থিব মহাবিশ্ব!

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৭ এএম

চিলির ‘ভেরা সি. রুবিন অবজারভেটরি’তে স্থাপিত নতুন টেলিস্কোপ প্রথমবারের মতো মহাবিশ্বের অভূতপূর্ব ছবি তুলেছে। এর শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরা মহাবিশ্বের গভীর ও অন্ধকার অংশ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ছবিতে দেখা গেছে, ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরের তারা তৈরির অঞ্চলে রঙিন গ্যাস ও ধূলিকণার মেঘ। এ টেলিস্কোপ সৌরজগতের সম্ভাব্য নবম গ্রহ, বিপজ্জনক গ্রহাণু, মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের মানচিত্র এবং ডার্ক ম্যাটারের রহস্য উন্মোচনে সক্ষম। আগামী ১০ বছর দক্ষিণ গোলার্ধের রাতের আকাশের ছবি তুলে জ্যোতির্বিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত খুলবে।

আমাদের সৌরজগতের মধ্যে যদি কোনো নবম গ্রহ বা নতুন গ্রহ থেকে থাকে তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ টেলিস্কোপ এতটাই শক্তিশালী যে, প্রথম বছরেই সেটা খুঁজে বের করতে পারবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, টেলিস্কোপটি এমন বিপজ্জনক গ্রহাণুও শনাক্ত করবে, যেগুলো পৃথিবীকে ধাক্কা দেওয়া বা এর ওপর আছড়ে পড়ার মতো দূরত্বে আছে। মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের মানচিত্রও তৈরি করতে পারবে এটি। পাশাপাশি মহাবিশ্বের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে থাকা রহস্যময় বস্তু, বিশেষ করে ‘ডার্ক ম্যাটার’ সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।

১০ বছর ধরে দক্ষিণ গোলার্ধের রাতের আকাশের ছবি ক্রমাগত তুলবে এটি, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য এক অসাধারণ ও বিরল সুযোগ বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও স্কটল্যান্ডের রাজ জ্যোতির্বিদ ক্যাথরিন হেইমানস বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ২৫ বছর ধরে এ মুহূর্তটির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দশকের পর দশক ধরে আমরা এ ধরনের অসাধারণ মানের টেলিস্কোপ তৈরির পাশাপাশি এ ধরনের গবেষণা চালাতে চেয়েছি।’

বিবিসি লিখেছে, এ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ এক অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি এমন ডেটা সেন্টার তৈরি করবে, যেখানে আকাশ স্ক্যান করে টেলিস্কোপ যে বিশালসংখ্যক বিস্তারিত ছবি সংগ্রহ করবে, সেগুলো বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়া করবে ওই ডেটা সেন্টার।

গবেষকরা বলছেন, সৌরজগতের যতগুলো বস্তু এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে, তার সংখ্যা দশ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে ভেরা রুবিন টেলিস্কোপটি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত