পর পর কাজ পাচ্ছিল যে মেয়ে, সে কেন আত্মহত্যা করবে?
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ মে, ২০২২ ১৯:২৩
শুটিংয়ের সেটে যে মেয়ে সব সময় হাসিখুশি, পর পর কাজ পাচ্ছিলেন যিনি, তিনি কী করে আত্মহত্যা করলেন! টলিউড অভিনেত্রী পল্লবী দের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে হতবাক সহ-অভিনেতা ভরত কল। পল্লবীর মতো প্রাণবন্ত মেয়েও যে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না ভরত। ভরত বলেন, ‘ওর মতো মেয়ে হঠাৎ করে কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলেন, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। আদৌ কোনও ফাউলপ্লে হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে’।
পল্লবী ভরতের সহ-অভিনেত্রী তো বটেই, তার মেয়ের বন্ধুও। তিন দিন আগেই ভরতের মেয়ের জন্মদিন পার্টিতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন পল্লবী। এই কথা জানিয়ে ভরত বলেন, ‘পল্লবী কাজের দিক দিয়ে ভীষণই পেশাদার। সারাক্ষণ সেট মাতিয়ে রাখত। শুধু তাই নয়, গত তিন বছর ধরে পল্লবী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছিল। পর পর কাজও পাচ্ছিল। তা হলে কী এমন হল যে ওকে আত্মহত্যা করতে হল! এক বারও বাবা, মায়ের কথা ভাবল না?’
এর পরেই তদন্তের দাবি তুলে ভরত বললেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে কোনও ফাউলপ্লে হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। মৃত্যুর কারণ কী, কেন আত্মহত্যা করতে হল, তা আমাদের সকলের জানা উচিত। একটা মেয়ে তিন বছর ধরে কাজ করছে, পর পর কাজ পাচ্ছে, ওর কী মেন্টাল প্রবলেম (মানসিক সমস্যা) হল, জানি না। আমাদের ভেতরে কী চলছে, তা সব চেয়ে বেশি জানা যায় মেক আপ রুমে। সেখানে যে এত হাসিখুশি, সে কেন আত্মহত্যা করল!’
মৃত্যুর ১৭ ঘণ্টা আগেও ইনস্টাগ্রামে রিল ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পল্লবী দে। শেষ কয়েক ঘণ্টায় কী এমন ঘটে গেল যে আত্মহত্যা করতে হল টলিউডের উঠতি অভিনেত্রীকে?
রবিবার সকালে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তার বয়ফ্রেন্ড। তিনিই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত দেড় মাস ধরে ওই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গেই গড়ফা এলাকায় থাকতেন পল্লবী। আগে থাকতেন হাওড়ায়। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছেন, এক বন্ধুর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন পল্লবী। হাওড়ার বাড়ি থেকে গড়ফার ফ্ল্যাটে চলে আসার কারণ সম্ভবত সেটাই।
রবিবার সকালে সিগারেট খেতে বাইরে গিয়েছিলেন পল্লবীর বয়ফ্রেন্ড। তার পর ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এর পরই পুলিশে খবর দেন তিনি।
সূত্রের খবর, শনিবার এবং রবিবার দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। তবে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে পল্লবীকে তার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। তবে ঘরে কোনও সুইসাইড নোট খুঁজে পায়নি পুলিশ।
পল্লবীর অভিনয় জীবন খুব বেশিদিনের নয়। পর্দায় তাঁর প্রথম বড় চরিত্র ‘রেশম ঝাঁপি’ ধারাবাহিকে। তবে নায়িকা হিসেবে বড় সুযোগ, ‘আমি সিরাজের বেগম’ ছবিতে। ওই ছবিতে পল্লবীকে দেখা গিয়েছিল সিরাজের স্ত্রী লুৎফা-র চরিত্রে।
‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে পল্লবীর বিপরীতে ছিলেন শন বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী সুপ্রিয়ার নাতি শনের সঙ্গে পল্লবীর রসায়ন জনপ্রিয় হয়েছিল। টলিউডে কাঙ্ক্ষিত ‘ব্রেক’ পেয়ে গিয়েছিলেন পল্লবী। আসতে শুরু করেছিল গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও।
ধীরে ধীরে টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন পল্লবী। ‘কুঞ্জছায়া’ ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পর ফের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসে তাঁর কাছে। ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকে আবার নায়িকার চরিত্র পান তিনি।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকের শ্যুটিং করেছেন পল্লবী। রবিবারও শুটিং ছিল।
গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি নেট মাধ্যমেও একাধিক পোস্ট করেছেন। অভিনেত্রীর সহকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, হাসিখুশি, প্রাণবন্ত একটি মেয়ে হঠাৎ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিল কেন? তা অবিলম্বে তদন্ত করে বের করুক পুলিশ।
রবিবার অবশ্য পুলিশ পল্লবীর ওই বন্ধুকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে। তিনি জানান, কিছু দিন আগে তারা দুজনে গড়ফার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। পল্লবীর সঙ্গে তার যুবকের সম্পর্ক প্রায় দেড় বছরের।
পল্লবীর পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। যদিও নির্দিষ্ট কোনও নাম তারা বলতে চাননি। অপেক্ষা করছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য।
মাকে ফোন করে শনিবারই ধোকার ডালনার রেসিপি জানতে চেয়েছিলেন পল্লবী। রবিবার সকালে আচমকা ‘আত্মহত্যা’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঠিক এক দিন আগেই। নিজে হাতে রান্না করবেন বলে বাড়িতে ফোন করেছিলেন অভিনেত্রী। মেয়ের মৃ্ত্যুর পর সে কথা জানিয়ে পল্লবীর বাবার অভিযোগ, ‘আমার মনে হয় না ও আত্মহত্যা করতে পারে। হয়তো খুনই করা হয়েছে ওকে’। তিনি আরো বলেন, ‘ও খুব বুঝদার মেয়ে ছিল। আত্মহত্যা করার মেয়ে নয়’।
মৃত্যুর আঠারো ঘণ্টা আগেও তিনি প্রেমিক এবং লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে সপ্তাহান্ত কাটানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ছবি অনুযায়ী, ইতিউতি ঘোরাঘুরির পাশাপাশি তারা রেস্তরাঁয় খাওয়া দাওয়াও করেছিলেন।
মাত্র ২৫ বছর বয়সী হাওড়ার বাসিন্দা পল্লবী নিজেকে প্রমাণ করতে চলে এসেছিলেন শহর কলকাতায়। সাড়া দিয়েছিলেন রুপালি পর্দার হাতছানিতে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ মে, ২০২২ ১৯:২৩

শুটিংয়ের সেটে যে মেয়ে সব সময় হাসিখুশি, পর পর কাজ পাচ্ছিলেন যিনি, তিনি কী করে আত্মহত্যা করলেন! টলিউড অভিনেত্রী পল্লবী দের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে হতবাক সহ-অভিনেতা ভরত কল। পল্লবীর মতো প্রাণবন্ত মেয়েও যে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না ভরত। ভরত বলেন, ‘ওর মতো মেয়ে হঠাৎ করে কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলেন, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। আদৌ কোনও ফাউলপ্লে হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে’।
পল্লবী ভরতের সহ-অভিনেত্রী তো বটেই, তার মেয়ের বন্ধুও। তিন দিন আগেই ভরতের মেয়ের জন্মদিন পার্টিতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন পল্লবী। এই কথা জানিয়ে ভরত বলেন, ‘পল্লবী কাজের দিক দিয়ে ভীষণই পেশাদার। সারাক্ষণ সেট মাতিয়ে রাখত। শুধু তাই নয়, গত তিন বছর ধরে পল্লবী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছিল। পর পর কাজও পাচ্ছিল। তা হলে কী এমন হল যে ওকে আত্মহত্যা করতে হল! এক বারও বাবা, মায়ের কথা ভাবল না?’
এর পরেই তদন্তের দাবি তুলে ভরত বললেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে কোনও ফাউলপ্লে হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। মৃত্যুর কারণ কী, কেন আত্মহত্যা করতে হল, তা আমাদের সকলের জানা উচিত। একটা মেয়ে তিন বছর ধরে কাজ করছে, পর পর কাজ পাচ্ছে, ওর কী মেন্টাল প্রবলেম (মানসিক সমস্যা) হল, জানি না। আমাদের ভেতরে কী চলছে, তা সব চেয়ে বেশি জানা যায় মেক আপ রুমে। সেখানে যে এত হাসিখুশি, সে কেন আত্মহত্যা করল!’
মৃত্যুর ১৭ ঘণ্টা আগেও ইনস্টাগ্রামে রিল ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পল্লবী দে। শেষ কয়েক ঘণ্টায় কী এমন ঘটে গেল যে আত্মহত্যা করতে হল টলিউডের উঠতি অভিনেত্রীকে?
রবিবার সকালে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তার বয়ফ্রেন্ড। তিনিই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত দেড় মাস ধরে ওই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গেই গড়ফা এলাকায় থাকতেন পল্লবী। আগে থাকতেন হাওড়ায়। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছেন, এক বন্ধুর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন পল্লবী। হাওড়ার বাড়ি থেকে গড়ফার ফ্ল্যাটে চলে আসার কারণ সম্ভবত সেটাই।
রবিবার সকালে সিগারেট খেতে বাইরে গিয়েছিলেন পল্লবীর বয়ফ্রেন্ড। তার পর ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এর পরই পুলিশে খবর দেন তিনি।
সূত্রের খবর, শনিবার এবং রবিবার দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। তবে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে পল্লবীকে তার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। তবে ঘরে কোনও সুইসাইড নোট খুঁজে পায়নি পুলিশ।
পল্লবীর অভিনয় জীবন খুব বেশিদিনের নয়। পর্দায় তাঁর প্রথম বড় চরিত্র ‘রেশম ঝাঁপি’ ধারাবাহিকে। তবে নায়িকা হিসেবে বড় সুযোগ, ‘আমি সিরাজের বেগম’ ছবিতে। ওই ছবিতে পল্লবীকে দেখা গিয়েছিল সিরাজের স্ত্রী লুৎফা-র চরিত্রে।
‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে পল্লবীর বিপরীতে ছিলেন শন বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী সুপ্রিয়ার নাতি শনের সঙ্গে পল্লবীর রসায়ন জনপ্রিয় হয়েছিল। টলিউডে কাঙ্ক্ষিত ‘ব্রেক’ পেয়ে গিয়েছিলেন পল্লবী। আসতে শুরু করেছিল গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও।
ধীরে ধীরে টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন পল্লবী। ‘কুঞ্জছায়া’ ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পর ফের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসে তাঁর কাছে। ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকে আবার নায়িকার চরিত্র পান তিনি।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকের শ্যুটিং করেছেন পল্লবী। রবিবারও শুটিং ছিল।
গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি নেট মাধ্যমেও একাধিক পোস্ট করেছেন। অভিনেত্রীর সহকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, হাসিখুশি, প্রাণবন্ত একটি মেয়ে হঠাৎ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিল কেন? তা অবিলম্বে তদন্ত করে বের করুক পুলিশ।
রবিবার অবশ্য পুলিশ পল্লবীর ওই বন্ধুকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে। তিনি জানান, কিছু দিন আগে তারা দুজনে গড়ফার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। পল্লবীর সঙ্গে তার যুবকের সম্পর্ক প্রায় দেড় বছরের।
পল্লবীর পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। যদিও নির্দিষ্ট কোনও নাম তারা বলতে চাননি। অপেক্ষা করছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য।
মাকে ফোন করে শনিবারই ধোকার ডালনার রেসিপি জানতে চেয়েছিলেন পল্লবী। রবিবার সকালে আচমকা ‘আত্মহত্যা’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঠিক এক দিন আগেই। নিজে হাতে রান্না করবেন বলে বাড়িতে ফোন করেছিলেন অভিনেত্রী। মেয়ের মৃ্ত্যুর পর সে কথা জানিয়ে পল্লবীর বাবার অভিযোগ, ‘আমার মনে হয় না ও আত্মহত্যা করতে পারে। হয়তো খুনই করা হয়েছে ওকে’। তিনি আরো বলেন, ‘ও খুব বুঝদার মেয়ে ছিল। আত্মহত্যা করার মেয়ে নয়’।
মৃত্যুর আঠারো ঘণ্টা আগেও তিনি প্রেমিক এবং লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে সপ্তাহান্ত কাটানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ছবি অনুযায়ী, ইতিউতি ঘোরাঘুরির পাশাপাশি তারা রেস্তরাঁয় খাওয়া দাওয়াও করেছিলেন।
মাত্র ২৫ বছর বয়সী হাওড়ার বাসিন্দা পল্লবী নিজেকে প্রমাণ করতে চলে এসেছিলেন শহর কলকাতায়। সাড়া দিয়েছিলেন রুপালি পর্দার হাতছানিতে।