কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দীর্ঘ সাত বছর প্রেম এবং মেলামেশার পর বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রেমিকার বাবার করা ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে প্রেমিককে।
শুক্রবার রাতে প্রেমিকার বাবা ভৈরব থানায় ধর্ষণ মামলা করলে শনিবার দুপুরে প্রেমিক রুবেল বেলায়েতকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
প্রেমিকা স্থানীয় একটি কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। একই এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে রুবেল ভৈরব হাজী আসমত কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, বিয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রেমিকা ভৈরব থানায় অবস্থান করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সবশেষে মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
এর আগে প্রেমিকা বৃহস্পতিবার বিকেলে রুবেলকে ভৈরব বাজারে পেয়ে পথরোধ করেন। এসময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুজনের ঝগড়ায় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আল আমিন ঘটনা দেখে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
প্রেমিকা জানান, রুবেলের সঙ্গে তার দীর্ঘ সাত বছরের প্রেম। এই সময়ের মাঝে রুবেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে অনেকবার একত্রে রাত্রিযাপন করেছে।
কিন্তু গত দুই বছর আগে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুবেল তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে। এনিয়ে দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন ৪/৫ মাস আগে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। কিন্তু এতেও রুবেলের মন গলেনি।
এ নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে একাধিকবার কথা হয়। রুবেল প্রেমের বিষয় স্বীকার করলেও বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
প্রেমিকার দাবি করে, রুবেল যেহেতু তার সঙ্গে একাধিকবার রাত্রিযাপন করেছেন, সেহেতু তাকে বিয়ে করতেই হবে।
এদিকে প্রেমিক রুবেল প্রেম এবং রাত্রিযাপনের বিষয় স্বীকার করলেও তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্কের বিষয় অস্বীকার করেন। তার দাবি, প্রেমিকার সঙ্গে রাত কাটালেও তার শরীর স্পর্শ করেননি।
ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, দুই পরিবার মিলেও ঘটনাটি মীমাংসা করতে পারেননি।
তিনি বলেন, পরে মেয়ের বাবা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। ওই মামলায় রুবেলকে কিশোরগঞ্জ জেলে পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।