এ তো নয় ভালোবাসা। ভাবছেন অভিনয়, সব ছলনা। তবু মনের কোণে ‘গোপন’ মানুষটির জন্য একটুখানি হা-হুতাশ। স্বামী বা স্ত্রীকে লুকিয়ে চ্যাটিং। দেখা হলেই একগাল হাসি!
বিশেষ কাউকে দেখে এমন হাসিতে আপনি কখন যে ফেঁসে যাচ্ছেন, তা নিজেও হয়তো টের পাচ্ছেন না। এ ধরনের সম্পর্ককে মনোবিদরা ‘আবেগি’ বলে থাকেন। এটা শুরুতে দৃশ্যত কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে নিয়ে যায় খাদের কিনারায়। ভারতের নারীবিষয়ক পত্রিকা ‘ফেমিনা’ আবেগি সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। সেখানে মনোবিজ্ঞানী রঞ্চনা কে সিং বলেন, ‘এ ধরনের সম্পর্কও বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর। কখনো পরিকল্পনা করে করা হয় না। ধীরে ধীরে দুজন দুজনার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন।’
কীভাবে বুঝবেন?
সঙ্গী ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে মেসেজ। সেই মেসেজে যদি লিখে থাকেন, ‘তোমায় মিস করছি।’ তবে বুঝবেন এই সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। অর্থাৎ আপনার আলাপচারিতা যদি আপনি স্বামী বা স্ত্রীকে দেখাতে না পারেন, সমস্যা সৃষ্টি হবে তখনই।
এই সম্পর্ক কতটা ক্ষতিকর?
আধুনিক সমাজে নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব আর লুকোচুরির ব্যাপার নয়। কেউ কারও সঙ্গে কফি হাউসে যেতেই পারেন। একান্তে একটু আলাপ করতেই পারেন।
এতটুকু খোলামেলা ভাব সমাজ মেনে নিলেও যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে উপমহাদেশের লোকজন আজও জবাবদিহির জায়গা খুঁজে ফেরে।
রঞ্চনা সিং বলছেন, ‘আবেগি সম্পর্ক ঠিকই একসময় যৌন সম্পর্কের দিকে ধাবিত হয়। আর সমস্যাটা সৃষ্টি হয় তখনই।’
যেভাবে তৈরি হয় এই সম্পর্ক
১. বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে নিয়মিত একটানা অনেক সময় ব্যয় করলে। সঙ্গীকে যা বলেন না, ওই ব্যক্তির সঙ্গে সেই তথ্য শেয়ার করলে।
২. তার পছন্দমতো কাজ করতে থাকলে।
৩. সঙ্গীর চেয়ে তাকে বেশি নির্ভরশীল মনে করলে।