স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কক্সবাজারে খুন হওয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সংখ্যক রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চতুর্দিকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজাম-পগুলোতে নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সভাশেষে এসব কথা বলেন তিনি। আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ধরনের মারামারি আগেও হয়েছে। মিয়ানমার থেকে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ অস্থির করার জন্য এখানে অস্ত্র আসছে। অস্ত্র নিয়ে তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপের মারামারি হচ্ছে। যে নেতার (মুহিবুল্লাহ) কথা বলছেন, তিনি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সবসময় সোচ্চার ছিলেন। আমরা মনে করি, তার এই ঘটনাটা তদন্ত করে এর মূল কারণটা বের করতে হবে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। যারা তাকে হত্যা করেছে বলে আমরা মনে করছি। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। তদন্ত চলছে, আমরা খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কারা অস্থিরতা সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছে, কোনো বিদেশি সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না সবকিছু আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।’
ক্যাম্পে এই হত্যাকান্ড পরিকল্পিত কি না এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছুই বলতে পারছি না। আমরা অনেক কিছুই সন্দেহ করছি। তদন্তের পর সবকিছু জানা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা শিথিল হয়নি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চতুর্দিকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে। রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে, যা শিগগিরই শেষ হবে। এই ক্যাম্পে ১১ লাখ লোক বাস করে। এত বিশাল জনগোষ্ঠীর সবকিছু মেইনটেইন করা খুব সহজ কাজ নয়। তারপরও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী সমন্বিতভাবে ভালো কাজ করছে বলেই আইনশৃঙ্খলা এখনো ঠিক রয়েছে। কক্সবাজার একটা পর্যটন এলাকা, সেখানে লাখ লাখ পর্যটক যাচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে বলেই সব কিছু ভালো অবস্থানে আছে।’
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।