সকাল ১০টায় ভোটের লাইনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শাহিনুর বেগম। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি তিনি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কোমর ব্যথা হয়ে গেছে। এমন অবস্থা জানলে বিকালে আসতাম।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে খুলনা নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় শাহিনুরের সঙ্গে। এই কেন্দ্রে কিছুক্ষণ আগে ভোট দিয়ে এসেছেন রহিম মিয়া। তিনিও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম ভোট দিতে এসেছেন নিপা খান। তিনি বলেন, জীবনের প্রথম ভোট ইভিএমে। ২০ সেকেন্ড লেগেছে ভোট দিতে। কোনও সমস্যা হয়নি। তবে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে দীর্ঘ সময়।
এই স্কুলের ১৬১ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রবিউল ইসলাম খান বলেন, প্রথম ২ ঘণ্টায় ১৫৫ ভোট কাস্ট হয়। ভোটার ১ হাজার ৫৯২ জন। কাস্ট হয় ৯ শতাংশ। ভোটের হার স্বাভাবিক রয়েছে।
এ স্কুলের ১৬৩ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মীর্জা তৌফিকুল আজম বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ২৬৬টি ভোট কাস্ট হয়। মোট ভোটার ১ হাজার ২৬৭। ভোট দেওয়ার হার ২০ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
খুলনায় ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু লাঙ্গল প্রতীকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিকও ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।